নয়াদিল্লি, 22 ফেব্রুয়ারি: হিজাব পরেই পরীক্ষায় বসতে চায় কর্ণাটকের বিভিন্ন সরকারি স্কুলের ছাত্রীরা ৷ এই দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা রুজু করেছে তারা ৷ সেই মামলা শুনতে রাজি হয়েছে শীর্ষ আদালত (Hijab Row in Supreme Court) ৷
কর্ণাটকের সরকারি স্কুলগুলিতে হিজাব নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৷ পরবর্তীতে এ নিয়ে রুজু হওয়া মামলায় রায়দানের ক্ষেত্রে আদালত দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায় ৷ এদিকে, আগামী 9 মার্চ থেকে স্কুলগুলিতে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ৷ এই অবস্থায় যেসব সংখ্য়ালঘু ছাত্রী হিজাব পরে স্কুলে যেতে অভ্যস্থ, তারা পরীক্ষা বসতে পারবে না বলে আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে ৷ বিষয়টি প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে জানানো হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: অভিন্ন পোশাক বিধি নিয়ে জনস্বার্থর মামলার শুনানিতেই রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট
আইনজীবী শাদান ফারাসাত এই প্রসঙ্গে আগেই বলেছিলেন, "ওরা মাথায় হিজাব পরে ৷ কিন্তু, এভাবে ওরা পরীক্ষার হলে ঢুকতে পারবে না ৷ কেবলমাত্র এই বিষয়টিকে বিবেচনার মধ্যে রেখেই আদালত হয়তো মামলাটি শোনার জন্য সোমবার অথবা শুক্রবার নথিভুক্ত করতে পারে ৷"
পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে বিষয়টি জানান শাদান ৷ তিনি আদালতকে বলেন, কর্ণাটকের সরকারি স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ হওয়ার পর বেশ কিছু ছাত্রীকে বাধ্য হয়েই বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করেন তাঁদের অভিভাবকেরা ৷ কিন্তু, সকলের সেই সামর্থ নেই ৷ এই অবস্থায় পরীক্ষায় বসতে না-পারলে সংশ্লিষ্ট ছাত্রীদের একটি বছর নষ্ট হবে ৷ এরপরই প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, তিনি মামলাটি শুনবেন ৷
উল্লেখ্য, গতবছর হিজাব মামলার নিষ্পত্তি করতে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে ৷ কিন্তু, রায়দানের সময় দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট দুই বিচারপতি ভিন্ন মতামত পোষণ করছেন ৷ ফলে রায়দান স্থগিত হয়ে যায় ৷ এর ফলে বিপাকে পড়েন মামলাকারীরা ৷ এরপর গতমাসে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় হিজাব মামলার নিষ্পত্তি করতে একটি তিন সদস্যের বেঞ্চ গঠন করা হবে ৷ কিন্তু, তারই মধ্যে পরীক্ষার তারিখ চলে আসায় দেখা দিয়েছে নয়া সমস্যা ৷