ভেমুলওয়াদা, 29 অগস্ট: অধ্যক্ষের দেওয়া শাস্তির জেরে এক ছাত্রী তাঁর পায়ের স্পর্শক্ষমতা হারিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে । রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে রাজন্না সিরসিল্লা জেলার ভেমুলওয়াদায় সমাজকল্যাণ বিভাগের গুরুকুলা মহিলা ডিগ্রি কলেজে (Student lost Touch in her Legs due to Lecturers Punishment) ৷
জানা গিয়েছে, ছাত্রীটি একদিন ছুটি নিয়েছিল এরপর সে তিনদিন পর কলেজে আসে । এর জন্য কলেজের এক অধ্যক্ষ তাঁকে পাঁচ দিন টানা দাঁড় করিয়ে রাখে ৷ ফলে ওই ছাত্রী তাঁর পায়ের স্পর্শ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । বর্তমান ওই ছাত্রীটি আর হাঁটতে পারছে না বলে খবর ৷ তাঁর চিকিৎসা চলছে ৷ ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় ।
আরও পড়ুন: ছাত্রকে মার, অভিযুক্ত শিক্ষক
আরও জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রী বিকম কম্পিউটারের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ৷ অসুস্থতার কারণে তিনি এই মাসের 18 তারিখে কলজে যায়নি, ছুটি নিয়ে নেন ৷ এদিকে ছুটি নিয়ে 23 তারিখে তিনি কলেজে আসেন । এরপর কলেজে আসতেই অধ্যক্ষ ডি মহেশ্বরী ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসা করে ৷ অভিযোগ ওই ছাত্রী কারণ জানানোর পরেও ওই অধ্যক্ষ টানা পাঁচ দিন সকাল 9টা থেকে বিকেল 5টা পর্যন্ত কলেজের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখে তাঁকে । অনেকক্ষণ দাঁড়ানোর ফলস্বরূপ, তিনি তাঁর পায়ের স্পর্শ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন এবং যার জেরে সে আর হাঁটতে পারছে না ৷
এই ঘটনার পর রবিবার তাঁকে তাঁর সহপাঠীরা সঙ্গে সঙ্গে ভেমুলাওয়াদা আঞ্চলিক হাসপাতালে ভর্তি করায় । সেখানে বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসা চলে তাঁর ৷ এরপর চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে এমআরআই স্ক্যানিংয়ের জন্য সিরসিল্লার জেলা হাসপাতালে পাঠান ।
ঘটনাটি জানাজানি হতে কলেজ চত্বরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ৷ পুরো ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কালেক্টর অনুরাগ জয়ন্তী । অভিযুক্ত মহেশ্বরীকে কিছুদিনের জন্য বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।