কলকাতা, 4 এপ্রিল: দীর্ঘদিন ধরেই বেআইনিভাবে চলছিল অস্ত্র কারখানাটি । বিহারের সেই বেআইনি অস্ত্র কারখানার তথ্য জানতে পারে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ । সেই তথ্য পেয়েই অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশ ও বিহারের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স । কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির যন্ত্রাংশ । কারখানা থেকে এক মহিলা-সহ মোট 5 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
লালবাজার সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই টাস্ক ফোর্সের কাছে খবর ছিল বিহারের একাধিক জায়গায় বেআইনিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে । সম্প্রতি উত্তর কলকাতা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া এক যুবককে জেরার পরেই বিহারে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র কারখানার হদিশ পান তদন্তকারীরা । এরপর যোগাযোগ করা হয় বিহার পুলিশের সঙ্গে । কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দা ও বিহার পুলিশ যৌথভাবে ওই অস্ত্র কারখানায় অভিযান চালায় ।
উদ্ধার হয় একাধিক অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম । আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির যন্ত্রাংশ, লেদ মেশিন-সহ একাধিক সামগ্রী । ইতিমধ্যেই, 11টি অসম্পূর্ণ তৈরি হওয়া পিস্তল, 7.65 এমএম পিস্তল, 9 কার্তুজ, 4 পিস্তল বাট-সহ আরও অনেক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ।
জানা গিয়েছে, রীতিমত বাড়ি ভাড়া নিয়ে দিনেদুপুরে চলত অস্ত্র তৈরির কারবার । এই সকল আগ্নেয়াস্ত্র ধীরে ধীরে সরবরাহ করা হত পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক জায়গায় । ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমে মোহাম্মদ নবি উল্লাহ, মোহাম্মদ আফজুর, মোহাম্মদ আনোয়ার, মোঃ ফয়সাল ও মঞ্জু দেবীকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স । তাদেরকে বিহার আদালতে পেশ করার পর ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে এসটিএফ ৷ তবে যে বাড়িকে কেন্দ্র করে বেআইনি অস্ত্র তৈরির কারবার রমরমিয়ে চলছিল, সেই বাড়ির মালিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর ।
উল্লেখ্য, রামনবমীর মিছিলে হাওড়া শিবপুরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রাস্তায় হাঁটার অভিযোগে ইতিমধ্যেই মুঙ্গের থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । তদন্তকারীদের অভিযোগ বিহারের একাধিক জায়গা এবং মুঙ্গের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র হাত বদল হয়ে বেআইনিভাবে এই রাজ্যে ঢুকেছে ৷
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে অস্ত্র আমদানির ছক ? বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্তে অস্ত্র কারখানার হদিশ