ওয়াশিংটন ডিসি, 24 অক্টোবর: সমকামী যুগলদের নিয়ে তাঁর মত সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে সংখ্যালঘু হলেও, নিজের অবস্থান থেকে নড়ছেন না প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ৷ তাঁর মতে, কখনও কখনও থাকে বিবেকের ভোট এবং কখনও হয় সংবিধানের ভোট ।
ওয়াংশিটন ডিসি-তে সোমবার 'ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টিকোণ' বিষয়ে তৃতীয় তুলনামূলক সাংবিধানিক আইন নিয়ে আলোচনায় বক্তব্য রাখেন তিনি । ইভেন্টটি আয়োজিত হয় ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৷ প্রধান বিচারপতি এ দিন সমাকামীদের বিবাহ মামলায় শীর্ষ আদালতের সাম্প্রতিক রায় নিয়ে বলেন,
"আমি বিশ্বাস করি এটি কখনও কখনও বিবেকের ভোট এবং কখনও সংবিধানের ভোট । এবং আমি যা বলেছি তাতে আমি অটল আছি ৷"
সমকামী বিবাহের আইনি অনুমোদন চেয়ে যে সব আবেদন করা হয়েছে, তার একটি ব্যাচের শুনানির সময় তিনি সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়ের পক্ষেও দাঁড়িয়েছিলেন ।
বেঞ্চ বিশেষ বিবাহ আইনে হস্তক্ষেপ করার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেয় এবং সমপ্রেমী যুগলের বিবাহে সমতা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ছেড়ে দেওয়া হয় সংসদের উপর ৷ সিজেআই সমপ্রেমী যুগলদের অধিকার দেওয়ার বিষয়ে তাঁর সংখ্যালঘু রায়ের কথাও এ দিন ফের তুলে ধরেন ৷ শীর্ষ আদালতের বেঞ্চের রায়ে তাঁর বেশিরভাগ সহকর্মীরাই মনে করেন যে, এই অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়াও ঐতিহ্যগত ডোমেনের বাইরে এবং এটি অবশ্যই সাংসদের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত । তিনি বলেন যে, সমপ্রেমী কিউয়ার যুগলদের দত্তক নেওয়ার অধিকার নিয়ে তাঁর রায় বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকদের দ্বারা সমর্থিত নয় । এমন 13টি উদাহরণ উল্লেখ করেছেন প্রধান বিচারপতি, যেখানে তিনি উল্লেখযোগ্য এই রায় দেওয়ার সময় সংখ্যালঘু ছিলেন ।
আরও পড়ুন: সমকামী বিবাহ ও সন্তান দত্তক বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে কী বলছে টলিউড ?
তিনি বলেন, "বেঞ্চের পাঁচজন বিচারপতির সর্বসম্মত রায়ের মাধ্যমে, আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, আমরা সমকামিতাকে অপরাধমুক্ত করার এবং আমাদের সমাজে সমকামী সম্প্রদায়ের লোকদেরকে সমান অংশগ্রহণকারী হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ায় আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি করেছি । বিবাহের অধিকার এমন বিষয় যা সংসদের ডোমেনের মধ্যে পড়ে ৷"
তিনি এ দিন আরও বলেন, "আমার তিনজন সহকর্মী মনে করেন যে, ইউনিয়ন গঠনের অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া ঐতিহ্যগত ডোমেনের বাইরে ছিল এবং এই বিষয়টি সংসদের উপর ছেড়ে দিতে হবে ।"