গুরুগ্রাম, 9 অগস্ট: পরিস্থিতি বুঝে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন ৷ হিংসার ঘটনায় প্রশাসনিক গাফিলতির কথা এভাবেই কার্যত স্বীকার করে নিলেন হরিয়ানার উপ-মুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌতালা ৷ 31 জুলাই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে হরিয়ানার নুহতে ৷ পরে তা ছড়িয়ে পড়ে গুরুগ্রাম এবং অন্য কয়েকটি জেলায় ৷ রাজ্য সরকার মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় ৷ এসএমএস পরিষেবাও বন্ধ ৷ 11 অগস্ট পর্যন্ত হরিয়ানার কয়েকটি জায়গায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে বলে জানা গিয়েছে ৷
31 জুলাই নুহতে একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা ৷ এই প্রসঙ্গে উপ-মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আইন ও শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধকারিক জানিয়েছেন, মিছিলের আয়োজক 3 হাজার 200 জনের জন্য অনুমতি নিয়েছিলেন ৷ সেই অনুযায়ী পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল ৷ প্রশাসন পুরো বিষয়টি ঠিকঠাক অনুধাবন করতে পারেনি ৷" তিনি আরও জানান, নুহের এসপি (এখন স্থানান্তরিত) 22 জুলাই থেকে ছুটিতে ছিলেন ৷ এই অবস্থায় অতিরিক্ত এসপির পক্ষে পরিস্থিতিটি বোঝা সম্ভব হয়ে ওঠেনি ৷ এ নিয়ে তদন্ত চলছে ৷
এর আগে জননায়ক জনতা দল বা জেজেপি প্রধান দুষ্মন্ত চৌতালা জানিয়েছিলেন, ওই মিছিলের আয়োজক সংস্থাটি প্রশাসনের কাছে সঠিক তথ্য দেয়নি ৷ তাতে ফাঁক থেকে যাওয়ায় নুহতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল ৷ ওই মিছিলে উত্তেজিত জনতা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ৷ সেদিন দু'জন হোমগার্ডের মৃত্যু হয় ৷ এছাড়া আরও 4 জন প্রাণ হারান সংঘর্ষের ঘটনায় ৷
উপ-মুখ্যমন্ত্রীর আরও দাবি, হরিয়ানা সরকার নুহতে হিংসার ঘটনার 7 ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে ৷ অন্য যে কোনও রাজ্যে এই অবস্থা 2-3 সপ্তাহ ধরে চলে ৷ তিনি আরও জানিয়েছেন, কার্ফুর সময়সীমা কমানো হয়েছে ৷ ধীরে ধীরে তা তুলে নেওয়া হবে ৷ এদিকে, মঙ্গলবার পুলিশমন্ত্রী অনিল ভিজ এরপর হরিয়ানার গুরুগ্রাম-সহ আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় হিংসার ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে ৷ এখনও পর্যন্ত 312 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ 142টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: নুহ-র ঘটনা নিয়ে কোনও আগাম গোয়েন্দা সতর্কবার্তা ছিল না, দাবি হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর