ফিরোজাবাদ (উত্তরপ্রদেশ) , 31 অগস্ট: ট্রেনেই মৃত্যু শিশুর ৷ বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদে ৷ জরুরি ভিত্তিতে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ৷ বিহার থেকে শিশুটির বাবা-মা 3 বছরের শিশুটিকে দিল্লিতে নিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ শিশুর কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন ছিল ৷ তেজস এক্সপ্রেসে যাওয়ার সময় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে ৷
ট্রেনেই শিশুটির সঙ্গে একটি চিকিৎসকের দলও ছিল ৷ শিশুটির জন্য অক্সিজেন ও ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল ৷ সেই বিষয়ের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন ওই চিকিৎসকরা ৷ তবে বাবা-মায়ের অভিযোগ, প্রয়োজনের সময় চিকিৎসদের দলটি ঠিকমতো কাজ করেনি ৷ শিশুটির অক্সিজেনের দরকার ছিল ৷ কিন্তু সময়মতো শিশুটিকে তা দেওয়া হয়নি ৷ আর এই গাফিলতির জেরেই মৃত্যু হয়েছে শিশুটির ৷
সূত্রের খবর, মৃত শিশুটির নাম কৃষ্ণা কার্তিকেয় ৷ সে ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলার বাসিন্দা পবন কুমার গুপ্তা এবং নীলু দেবীর সন্তান ৷ পবন নিমাধি থানা এলাকায় থাকতেন ৷ অসুস্থ শিশুটির চিকিৎসা চলছিল বিহারের পটনায় ৷ কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয় ৷ তখন চিকিৎসকরা তাকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন ৷
এরপর পবন কুমার ও তাঁর স্ত্রী নীলু দেবী অসুস্থ শিশুটিকে নিয়ে তেজস এক্সপ্রেসে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন ৷ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন পবনের বাবা সাহুলালও ৷ অসুস্থ শিশুটির বাবা একটি চিকিৎসকের দলও সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ তারা শিশুটির জন্য থাকা অক্সিজেন থেকে শুরু করে ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থাগুলির দেখাশোনা করছিলেন ৷
ট্রেনে সফরের সময় হঠাৎ শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় ৷ ফিরোজাবাদের টুন্ডলা স্টেশনে তার পরিবারের সদস্যরা ট্রেনটি থামায় ৷ এরপর তার শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে শিশুটির ময়নাতদন্ত হয় ৷
আরও পড়ুন: ময়নাতদন্তের জন্য নেই অ্যাম্বুলেন্স, প্লাস্টিকে শিশুর শবদেহ নিয়ে হাসপাতালে গেলেন বাবা
পরিবারের অভিযোগ, শিশুটির যখন অক্সিজেনের দরকার ছিল, তখন তাদের সঙ্গে থাকা চিকিৎসকের দলটি ঠিকমতো অক্সিজেন দেয়নি ৷ মৃত শিশুটির পরিবার পুলিশের কাছে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ জানায় ৷ এরপর পুলিশ ওই চিকিৎসকদের সরঞ্জাম, ভেন্টিলেটর এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার বাজেয়াপ্ত করে ৷