ETV Bharat / bharat

Shraddha Murder Case: শ্রদ্ধার খুনের পর দুবার গেলেও ঘরে দেহাংশ লুকনো আছে টেরই পাননি আফতাবের নতুন প্রেমিকা !

শ্রদ্ধা খুনের (Shraddha Murder Case) পর দু'বার আফতাবের বাড়িতে গেলেও ঘরে যে দেহাংশ লুকনো আছে, তার কোনও আভাস পানন অভিযুক্তের 'নতুন প্রেমিকা' (Aaftab New Girlfriend)৷

Shraddha murder case: "Had no inkling of body parts kept in house," says Aaftab's 'new girlfriend'
শ্রদ্ধার খুনের পর দুবার গেলেও ঘরে দেহাংশ লুকনো আছে টেরই পাননি আফতাবের নতুন প্রেমিকা !
author img

By

Published : Nov 30, 2022, 12:15 PM IST

Updated : Nov 30, 2022, 12:33 PM IST

নয়াদিল্লি, 30 নভেম্বর: শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুনের (Shraddha Murder Case) পর দু'বার আফতাব আমিন পুনাওয়ালার ছাতারপুরের বাড়িতে গিয়েছেন তাঁর 'নতুন প্রেমিকা' (Aaftab New Girlfriend)৷ কিন্তু ঘরে যে কোনও মৃত মানবদেহের অংশ লুকনো রয়েছে, তা টেরই পাননি তিনি ৷ নিজেই এ কথা জানালেন আফতাবের প্রেমিকা ৷ বরং তিনি শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা শুনে চমকে গিয়েছেন ৷ এ ছাড়াও তিনি জানান, গত 12 অক্টোবর তাঁকে একটি আংটি উপহার দিয়েছিলেন আফতাব ৷ আগেই তদন্তকারী অফিসাররা আফতাবকে জেরা করে জানতে পেরেছিলেন যে, মৃত শ্রদ্ধার আঙুল থেকে আংটি খুলে নিয়ে সেই আংটিই নতুন বান্ধবীকে পরিয়েছিলেন অভিযুক্ত ৷ আংটিটি আফতাবের নতুন বান্ধবীর থেকে উদ্ধার করে তাঁর বিবৃতি নিয়েছেন তদন্তকারীরা ৷

জানা গিয়েছে, আফতাবের নতুন প্রেমিকা পেশায় একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ । পুলিশের কাছে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন যে, অক্টোবর মাসে দু'বার তিনি আফতাবের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন ৷ তবে শ্রদ্ধার হত্যার বা বাড়িতে মানুষের দেহের অংশ থাকার বিষয়ে কোনও আভাস পাননি তিনি ৷ আফতাবকে দেখে তাঁর কখনও মনে হয়নি যে তিনি ভয় পেয়ে রয়েছেন ৷ তিনি আরও জানান যে, আফতাব প্রায়শই তাঁকে তাঁর মুম্বই বাড়ির কথা বলতেন ।

একটি অনলাইন ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ হয়েছিল আফতাব এবং তাঁর নতুন বান্ধবীর ৷ পুলিশ জানিয়েছে, আফতাব বিভিন্ন ডেটিং সাইটের মাধ্যমে প্রায় 15 থেকে 20 জন মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন । তদন্ত চলাকালীন পুলিশ তাঁর বাম্বল অ্যাপের রেকর্ড খুঁজে পায় এবং সেখান থেকেই একটি মেয়ের হদিশ পায় পুলিশ, যাঁর সঙ্গে আফতাবের যোগাযোগ হয়েছিল শ্রদ্ধা খুনের প্রায় 12 দিন পরে, অর্থাৎ 30 মে ৷

আরও পড়ুন: ওয়েব সিরিজ দেখে বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা ? কী বলছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা

আফতাবের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বান্ধবী বলেন যে, আফতাবের আচরণ স্বাভাবিক ছিল ৷ এমনকী তিনি খুব যত্নশীলও ছিলেন ৷ আফতাবের মানসিক অবস্থা ঠিক নেই এটা কখনও তাঁর মনে হয়নি বলে জানিয়েছেন আফতাবের নতুন প্রেমিকা ৷ তিনি আরও জানান যে, আফতাবের বিভিন্ন ধরনের ডিওডোরেন্ট ও পারফিউমের সংগ্রহ ছিল এবং তিনি প্রায়শই তাঁকে উপহার হিসাবে পারফিউম দিতেন । তিনি জানান, আফতাব প্রচুর সিগারেট খেতেন তবে শিগগিরই ধূমপান ছেড়ে দেবেন বলে বারবার বলতেন আফতাব ৷ আফতাব নাকি বিভিন্ন ধরনের খাবার খুব পছন্দ করতেন এবং প্রায়শই বাড়িতে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ থেকে আমিষের আইটেম অর্ডার করতেন এবং শেফরা কীভাবে রেস্তোরাঁয় খাবার সাজায় সে সম্পর্কেও শখ ছিল তাঁর ৷

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আফতাবের নতুন প্রেমিকার কাউন্সেলিং চলছে ৷ কারণ তিনি শ্রদ্ধা হত্যা মামলার বিবরণ প্রকাশ্যে আসার পর হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন ৷

নয়াদিল্লি, 30 নভেম্বর: শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুনের (Shraddha Murder Case) পর দু'বার আফতাব আমিন পুনাওয়ালার ছাতারপুরের বাড়িতে গিয়েছেন তাঁর 'নতুন প্রেমিকা' (Aaftab New Girlfriend)৷ কিন্তু ঘরে যে কোনও মৃত মানবদেহের অংশ লুকনো রয়েছে, তা টেরই পাননি তিনি ৷ নিজেই এ কথা জানালেন আফতাবের প্রেমিকা ৷ বরং তিনি শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা শুনে চমকে গিয়েছেন ৷ এ ছাড়াও তিনি জানান, গত 12 অক্টোবর তাঁকে একটি আংটি উপহার দিয়েছিলেন আফতাব ৷ আগেই তদন্তকারী অফিসাররা আফতাবকে জেরা করে জানতে পেরেছিলেন যে, মৃত শ্রদ্ধার আঙুল থেকে আংটি খুলে নিয়ে সেই আংটিই নতুন বান্ধবীকে পরিয়েছিলেন অভিযুক্ত ৷ আংটিটি আফতাবের নতুন বান্ধবীর থেকে উদ্ধার করে তাঁর বিবৃতি নিয়েছেন তদন্তকারীরা ৷

জানা গিয়েছে, আফতাবের নতুন প্রেমিকা পেশায় একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ । পুলিশের কাছে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন যে, অক্টোবর মাসে দু'বার তিনি আফতাবের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন ৷ তবে শ্রদ্ধার হত্যার বা বাড়িতে মানুষের দেহের অংশ থাকার বিষয়ে কোনও আভাস পাননি তিনি ৷ আফতাবকে দেখে তাঁর কখনও মনে হয়নি যে তিনি ভয় পেয়ে রয়েছেন ৷ তিনি আরও জানান যে, আফতাব প্রায়শই তাঁকে তাঁর মুম্বই বাড়ির কথা বলতেন ।

একটি অনলাইন ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ হয়েছিল আফতাব এবং তাঁর নতুন বান্ধবীর ৷ পুলিশ জানিয়েছে, আফতাব বিভিন্ন ডেটিং সাইটের মাধ্যমে প্রায় 15 থেকে 20 জন মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন । তদন্ত চলাকালীন পুলিশ তাঁর বাম্বল অ্যাপের রেকর্ড খুঁজে পায় এবং সেখান থেকেই একটি মেয়ের হদিশ পায় পুলিশ, যাঁর সঙ্গে আফতাবের যোগাযোগ হয়েছিল শ্রদ্ধা খুনের প্রায় 12 দিন পরে, অর্থাৎ 30 মে ৷

আরও পড়ুন: ওয়েব সিরিজ দেখে বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা ? কী বলছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা

আফতাবের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বান্ধবী বলেন যে, আফতাবের আচরণ স্বাভাবিক ছিল ৷ এমনকী তিনি খুব যত্নশীলও ছিলেন ৷ আফতাবের মানসিক অবস্থা ঠিক নেই এটা কখনও তাঁর মনে হয়নি বলে জানিয়েছেন আফতাবের নতুন প্রেমিকা ৷ তিনি আরও জানান যে, আফতাবের বিভিন্ন ধরনের ডিওডোরেন্ট ও পারফিউমের সংগ্রহ ছিল এবং তিনি প্রায়শই তাঁকে উপহার হিসাবে পারফিউম দিতেন । তিনি জানান, আফতাব প্রচুর সিগারেট খেতেন তবে শিগগিরই ধূমপান ছেড়ে দেবেন বলে বারবার বলতেন আফতাব ৷ আফতাব নাকি বিভিন্ন ধরনের খাবার খুব পছন্দ করতেন এবং প্রায়শই বাড়িতে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ থেকে আমিষের আইটেম অর্ডার করতেন এবং শেফরা কীভাবে রেস্তোরাঁয় খাবার সাজায় সে সম্পর্কেও শখ ছিল তাঁর ৷

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আফতাবের নতুন প্রেমিকার কাউন্সেলিং চলছে ৷ কারণ তিনি শ্রদ্ধা হত্যা মামলার বিবরণ প্রকাশ্যে আসার পর হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন ৷

Last Updated : Nov 30, 2022, 12:33 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.