লখনউ, 16 এপ্রিল: গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই খালিদ আজিম ওরফে আশরাফকে খুন করতে ব্যবহার করা হয় তুরস্কে তৈরি জিগানা পিস্তল ৷ এই সেমি-অটোমেটিক পিস্তল দিয়েই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে আতিক ও তাঁর ভাইকে গুলি করে তিন দুষ্কৃতী ৷ তুরস্কের টিআইএসএএস নামের একটি সংস্থা এই পিস্তল বানায় বলে জানা গিয়েছে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, অরুণ মৌর্য্য, লাভেশ তিওয়ারি ও সানি নামের যে তিন দুষ্কৃতী শনিবার রাতে আতিক ও তাঁর ভাইকে খুন করেছে, তদন্তকারীদের জানিয়েছে প্রচারে আসতেই তারা এই কাজ করেছে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, তুরস্কে তৈরি ওই পিস্তলে 15টি করে বুলেট থাকে ৷ ফলে আতিক ও তাঁর ভাইকে লক্ষ্য করে ওইদিন পরপর গুলি করতে থাকে দুষ্কৃতীরা ৷ তবে দুষ্কৃতীদের হাতে ওই অত্যাধুনিক পিস্তল এল কোথা থেকে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, কারণ ভারতে এই আগ্নেয়াস্ত্র নিষিদ্ধ ৷ এই পিস্তলগুলির আনুমানিক বাজারদর 6 থেকে 7 লক্ষ টাকা ৷
তথ্য বলছে, 2001 সাল থেকে এই পিস্তলগুলি তৈরি হচ্ছে ৷ উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একটি সূত্রে বলা হচ্ছে, এই ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে ৷ যারা আতিকদের খুন করতে ওই দুষ্কৃতীদের কাজে লাগিয়েছিল তারাই এই অত্যাধুনিক বিদেশি বন্দুকের জোগান দিয়েছে ৷ তবে এই বিষয়ে পুলিশের তরফে সরকারিভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি ৷
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে জারি 144 ধারা, প্রয়াগরাজে বন্ধ ইন্টারনেট; আতিক হত্যার সব আপডেট একনজরে
তবে পুলিশের এফআইআর-এ বলা হয়েছে, সাংবাদিক সেজে শনিবার রাতে আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাইয়ের কাছে পৌঁছে যায় ওই দিন দুষ্কৃতী ৷ হঠাৎই তারা ক্যামেরা ও মাইক নামিয়ে রেখে গুলি চালাতে শুরু করে ৷ ঘটনায় আহত হয়েছেন মান সিং নামে এক পুলিশকর্মী ৷ পুলিশের পালটাগুলিতে আহত হয় একজন আক্রমণকারীও ৷ উল্লেখ্য, শনিবার রাতে যখন আতিক ও তাঁর ভাইকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেই সময় পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্যেই তাদের গুলি করে খুন করে তিন দুষ্কৃতী ৷ পুরো ঘটনাই ধরা পরে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ৷ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই খুন হয়ে যান আতিক ও তাঁর ভাই ৷