জুনাগড়, 24 জুলাই: বহুতল ধসে পড়ে বড়সড় দুর্ঘটনা গুজরাতের জুনাগড়ের দাতার রোডে। মৃত্যু হল একই পরিবারে তিন সদস্য-সহ 4 জনের ৷ এদের মধ্যে দু'জন নাবালক ৷ তিনতলা একটি বিল্ডিংয়ের ধসের নীচে এখনও বহু মানুষের আটকে থাকার সম্ভাবনা ৷ এনডিআরএফের একটি দল ইতিমধ্যেই ধস সরানোর কাজ শুরু করেছে ৷ এলাকাটি বেশ জনবসতিপূর্ণ ৷ জুনাগড়ের ডেপুটি মেয়র জানিয়েছেন, 500 জনের একটি দল উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপির শহর সভাপতি জানিয়েছেন, বিল্ডিংটি জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। তিনতলা বাড়িটি ধসে পড়ায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা ৷
বাড়িটির নীচতলায় একাধিক দোকান ছিল ও আশপাশেও অনেক বাড়ি রয়েছে ৷ দীর্ঘদিন ধরেই গুজরাতে শুরু হয়েছে বর্ষার বৃষ্টি ৷ আর বর্ষার কারণেই এই ঘটনা বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। বাড়ির ধ্বংসাবশেষ সরাতে ঘটনাস্থলে জেসিবি আনা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে লোকজনকে উদ্ধারে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও ৷ বাড়িটি যেখানে ধসে গিয়েছে সেখানে একটি বাজার রয়েছে ৷ প্রতিবেশীরা বলছেন, বাড়িটির দশা বেহাল ৷ অন্যদিকে, জুনাগড় ছাড়াও আমেদাবাদেও একটি বাড়ি ধসে পড়েছে।
আমেদাবাদের কোর্ট এলাকায় ট্যাঙ্কশালা রোডের রাজা মেহতা পোলে একটি তিনতলা হেরিটেজ ভবন ধসে পড়েছে। সেখানে আটকে পড়া একই পরিবারের 9 সদস্যকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় বর্তমানে রাজ্য প্রশাসনের তরফে যে সকল বাড়ি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে সেগুলোকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, আমেদাবাদের জরাজীর্ণ বহুতল ধসে পড়ার ঘটনা প্রায় দুই মাস ধরেই সামনে আসছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বড় ঘটনা হিসেবে ধরা যেতে পারে রথযাত্রার সময় ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনা।
প্রসঙ্গত, গত 48 ঘণ্টা ধরে গুজরাতের বেশির ভাগ জেলায় টানা ভারী বৃষ্টি হয়ে চলেছে। দক্ষিণ গুজরাত এবং সৌরাষ্ট্র এলাকায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে একাধিক নদী। জুনাগড়ের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। দ্বারকা, সুরাত, দেবভূমি, জুনাগড়ের একাধিক জায়গা জলে আপাতত জলের তলায়।
আরও পড়ুন: রায়গড়ের উদ্ধার কাজ বন্ধ করে দিল এনডিআরএফ; মৃত 27, এখনও নিখোঁজ 57