ETV Bharat / bharat

Seema-Sachin 'Love' Story: প্রেমের শুরু কাঠমাণ্ডুতে ! সীমা-সচিন বিতর্কে নয়া মোড় - নেপালে

পাবজি খেলাকে কেন্দ্র করে প্রেম এরপরই ভারতে চলে আসেন সীমা হায়দার ৷ আর তার আগে নেপালে গিয়েছিলেন দু'জনেই ৷ তবে নাম ভাঁড়িয়ে সেখানে হোটেলে ছিলেন তিনি ৷ দাবি ঘিরে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক ৷

Etv Bharat
নেপালের হোটেলে ছিলেন সীমা-সচিন
author img

By

Published : Jul 19, 2023, 10:57 PM IST

Updated : Jul 20, 2023, 8:58 AM IST

সীমা-সচিন বিতর্কে নয়া মোড়

কাঠমান্ডু, 19 জুলাই: ভারতে আসার আগে নেপালে ছিলেন সীমা হায়দার ! অন্তত কাঠমাণ্ডুর এক হোটেল মালিক বুধবার দাবি করেছেন, যে পাকিস্তানি নাগরিক সীমা হায়দার, সচিন মীনার সঙ্গে তাদের হোটেলে ছিলেন ৷ শুধু তাই নয়, ওই হোটেল মালিকের দাবি, এই দম্পতি বেনামে রুম বুক করেছিলেন। এই বক্তব্য যে সীমা হায়দার মামলায় বিতর্ক আরও খানিক উষ্কে দিল তা একরকম নিশ্চিত ৷ তবে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, সীমা হায়দার যে পাকিস্তানের চর, তা এখনই হলফ করে বলা সম্ভব নয় ৷

পাবজি খেলাকে কেন্দ্র করে প্রেম এরপরই ভারতে চলে আসেন সীমা হায়দার ৷ যদিও মে মাসে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে নয়ডা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ এরপর এসটিএফ সীমাকে একাধিক বার জেরা করে নয়া তথ্য সামনে এনেছে ৷ তবে এদিন নেপালের এক হোটেল মালিক গণেশ দাবি করেছেন, সচিন মীনা এবং সীমা হায়দার মার্চ মাসে সাত-আট দিন তাঁর হোটেলে ছিলেন। এমনকী ওই হোটেল মালিকের আরও দাবি, তারা যতদিন ছিলেন, বেশিরভাগ সময়ই তারা ঘরের মধ্যেই থেকেছে ৷ মাঝে মধ্যে সন্ধ্যার দিকে বাইরে বেরিয়েছিল বলেও জানান ওই হোটেল মালিক ৷ তাঁর কথায়, যেহেতু হোটেল 10টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় তার জেরে তাড়াতাড়ি ফিরেও আসে ওই দম্পতি ৷

হোটেল মালিকের দাবি, সচিন আগে থেকেই হোটেল বুক করে রেখেছিলেন ৷ এর পাশাপাশি হোটেলের কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রী সীমা একদিন পর আসবেন ৷ পরিকল্পনা অনুযায়ী সীমা এসেছিলেন এবং তাঁরা দু'জনে যাওয়ার সময় অবশ্য আলাদাভাবে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন হোটেল মালিক ৷ তবে সীমা বা সচিনের সঙ্গে কোনও সন্তান ছিল না বলেও জানিয়েছেন তিনি ৷ তারা থাকার সময় শিবংশ নাম ব্যবহার করার পাশাপাশি তাঁরা ভারতীয় মুদ্রা এবং নোট ব্যবহার করেছিলেন সীমারা ৷ তবে সবকিছুই তারা নগদে লেনদেন করেছে বলেও জানান হোটেল মালিক ৷

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (এসটিএফ) সীমা হায়দারকে দীর্ঘ জেরা করে ৷ নেপালের মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করে সীমা ৷ প্রায় 12 ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে ৷ সচিন মীনা এবং তাঁর বাবা নেত্রপাল সিংকেও সকালে গ্রেটার নয়ডার রাবুপুরা এলাকায় তাদের বাসভবন থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সকাল 10টার দিকে নয়ডায় এটিএসের ইউনিট অফিসে নিয়ে আসা হয় তাদের ৷ রাত পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ এসটিএফ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সীমা হায়দার দাবি করেছে, সে শুধুমাত্র তাঁর প্রেমিক সচিন মীনার সঙ্গে দেখা করতেই ভারতে এসেছেন। তাঁর অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি ৷

আরও পড়ুন: 'প্রেমিকের জন্যই ভারতে', এটিএস-এর 13 প্রশ্নে আর কী বললেন পাক যুবতী ?

অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি প্রশান্ত কুমার জানান, গুপ্তচরের অভিযোগ সম্পর্কে এত তাড়াতাড়ি কিছু বলা সম্ভব নয়। বিষয়টি দুটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত। তিনি বলেন, "যথেষ্ট প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না আমাদের ৷" তিনি আরও জানান, সীমা হায়দার কীভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে তার তদন্ত করতে নেপালে কোনও দল আপাতত পাঠানো হচ্ছে না।

সীমা-সচিন বিতর্কে নয়া মোড়

কাঠমান্ডু, 19 জুলাই: ভারতে আসার আগে নেপালে ছিলেন সীমা হায়দার ! অন্তত কাঠমাণ্ডুর এক হোটেল মালিক বুধবার দাবি করেছেন, যে পাকিস্তানি নাগরিক সীমা হায়দার, সচিন মীনার সঙ্গে তাদের হোটেলে ছিলেন ৷ শুধু তাই নয়, ওই হোটেল মালিকের দাবি, এই দম্পতি বেনামে রুম বুক করেছিলেন। এই বক্তব্য যে সীমা হায়দার মামলায় বিতর্ক আরও খানিক উষ্কে দিল তা একরকম নিশ্চিত ৷ তবে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, সীমা হায়দার যে পাকিস্তানের চর, তা এখনই হলফ করে বলা সম্ভব নয় ৷

পাবজি খেলাকে কেন্দ্র করে প্রেম এরপরই ভারতে চলে আসেন সীমা হায়দার ৷ যদিও মে মাসে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে নয়ডা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ এরপর এসটিএফ সীমাকে একাধিক বার জেরা করে নয়া তথ্য সামনে এনেছে ৷ তবে এদিন নেপালের এক হোটেল মালিক গণেশ দাবি করেছেন, সচিন মীনা এবং সীমা হায়দার মার্চ মাসে সাত-আট দিন তাঁর হোটেলে ছিলেন। এমনকী ওই হোটেল মালিকের আরও দাবি, তারা যতদিন ছিলেন, বেশিরভাগ সময়ই তারা ঘরের মধ্যেই থেকেছে ৷ মাঝে মধ্যে সন্ধ্যার দিকে বাইরে বেরিয়েছিল বলেও জানান ওই হোটেল মালিক ৷ তাঁর কথায়, যেহেতু হোটেল 10টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় তার জেরে তাড়াতাড়ি ফিরেও আসে ওই দম্পতি ৷

হোটেল মালিকের দাবি, সচিন আগে থেকেই হোটেল বুক করে রেখেছিলেন ৷ এর পাশাপাশি হোটেলের কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রী সীমা একদিন পর আসবেন ৷ পরিকল্পনা অনুযায়ী সীমা এসেছিলেন এবং তাঁরা দু'জনে যাওয়ার সময় অবশ্য আলাদাভাবে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন হোটেল মালিক ৷ তবে সীমা বা সচিনের সঙ্গে কোনও সন্তান ছিল না বলেও জানিয়েছেন তিনি ৷ তারা থাকার সময় শিবংশ নাম ব্যবহার করার পাশাপাশি তাঁরা ভারতীয় মুদ্রা এবং নোট ব্যবহার করেছিলেন সীমারা ৷ তবে সবকিছুই তারা নগদে লেনদেন করেছে বলেও জানান হোটেল মালিক ৷

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (এসটিএফ) সীমা হায়দারকে দীর্ঘ জেরা করে ৷ নেপালের মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করে সীমা ৷ প্রায় 12 ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে ৷ সচিন মীনা এবং তাঁর বাবা নেত্রপাল সিংকেও সকালে গ্রেটার নয়ডার রাবুপুরা এলাকায় তাদের বাসভবন থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সকাল 10টার দিকে নয়ডায় এটিএসের ইউনিট অফিসে নিয়ে আসা হয় তাদের ৷ রাত পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ এসটিএফ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সীমা হায়দার দাবি করেছে, সে শুধুমাত্র তাঁর প্রেমিক সচিন মীনার সঙ্গে দেখা করতেই ভারতে এসেছেন। তাঁর অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি ৷

আরও পড়ুন: 'প্রেমিকের জন্যই ভারতে', এটিএস-এর 13 প্রশ্নে আর কী বললেন পাক যুবতী ?

অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি প্রশান্ত কুমার জানান, গুপ্তচরের অভিযোগ সম্পর্কে এত তাড়াতাড়ি কিছু বলা সম্ভব নয়। বিষয়টি দুটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত। তিনি বলেন, "যথেষ্ট প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না আমাদের ৷" তিনি আরও জানান, সীমা হায়দার কীভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে তার তদন্ত করতে নেপালে কোনও দল আপাতত পাঠানো হচ্ছে না।

Last Updated : Jul 20, 2023, 8:58 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.