নয়াদিল্লি, 12 অগস্ট: শুক্রবার লোকসভায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বিল পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ তিনি জানিয়েছেন, এই নয়া বিল ভবিষ্যতে সংসদের দুই কক্ষে পাশ হয়ে আইনে পরিণত হলে তা ভারতীয় দণ্ডবিধি বা আইপিসি-এর জায়গা নেবে ৷ দেশের আইনি ব্যবস্থার খোলনলচে বদলানোর ব্যবস্থা থাকছে এই নয়া বিলে ৷ যার অন্যতম হল শতাব্দী প্রাচীন রাজদ্রোহ আইনের বিলোপ ৷ আইপিসি-এর 124এ ধারায় বর্তমানে এই রাজদ্রোহ আইনের কথা বলা হয়েছে ৷ নয়া বিধিতে আর এই আইন থাকছে না ৷ তার বদলে আসছে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ৷ যেখানে থাকছে আরও কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা ৷
রাজদ্রোহ আইনের যৌক্তিকতা বিষয়ে এর আগেও একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে ৷ বিরোধীরা এই আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও করে ৷ ব্রিটিশ আমলের এই শতাব্দী প্রাচীন আইন নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে ভেবে দেখার পরামর্শও দিয়েছিল শীর্ষ আদালত ৷ অবশেষে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই আইন বাতিল করার ৷
তবে, ভবিষ্যতে সরকারিভাবে রাজদ্রোহ আইন না থাকলেও তার স্থান নেবে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ৷ নতুন বিলে 150 নম্বর ধারায় এই আইনের উল্লেখ থাকছে ৷ যেখানে বলা হয়েছে, বাক স্বাধীনতাকে মর্যাদা দেওয়া হলেও যদি কেউ দেশ বিরোধী কোনও কথা বলে যা ভারতের অখণ্ডতা, একতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পরিপন্থী হয় তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে ৷ দেশে উত্তেজনা ছড়ানো, অস্থিরতা তৈরি বা বিভাজন মূলক সশস্ত্র কর্মকাণ্ডের কোনও ঘটনা ঘটলে বা তার চেষ্টা হলে এই আইন প্রযোজ্য হবে ৷
আরও পড়ুন: বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে, জানালেন শাহ
এই ধারায় উল্লেখ রয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে, লিখিতভাবে, বক্তৃতার মাধ্যমে, দৃশ্যকল্প মাধ্যমে, বৈদ্যুতিন মাধ্যমে যদি দেশের অখণ্ডতা বা সার্বভৌমত্ব বিরোধী কোনও কার্যকলাপের অভিযোগ ওঠে সেক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য হবে ৷ এই রাষ্ট্রদ্রোহের সাজা হবে নূন্যতম 7 বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত ৷