প্রতাপগড়(উত্তরপ্রদেশ), 23 এপ্রিল: কয়েক দিন আগে আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফ আহমেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রয়াগরাজের এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন অভিযুক্তকে সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেফতার করে পুলিশ । এখন তিনজনই পুলিশ হেফাজতে। এদিকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল কায়দা শুক্রবার আতিক ও আশরাফ হত্যার প্রতিশোধের নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এরপর পুলিশের পাশাপাশি নিরাপত্তা সংস্থাগুলিও আরও বেশি সতর্ক হয়েছে । তিন অভিযুক্ত অরুণ মৌর্য, সানি ও লাভলেশ তিওয়ারির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে । এছাড়া প্রতাপগড় সংশোধনাগারে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে চাইছে জেল কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, আতিক আহমেদ ও তার ভাইয়ের হত্যা মামলায় জড়িত তিন অভিযুক্তকে চারদিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছিল আদালত । সেই মতো তারা এখন নৈনিতে পুলিশে হেফাজতেই আছেন। রবিবার বিকেল পাঁচটায় এই হেফাজত শেষ হচ্ছে তাঁদের । এরপর এই শ্যুটারদের প্রতাপগড়ে নিয়ে আসা হতে পারে । তবে দুপুর পর্যন্ত সরকারিভাবে এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। সূত্রের খবর, তিন অভিযুক্তের জন্য প্রতাপগড় জেলা সংশোধনাগারে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে । এসটিএফ-এর তত্ত্বাবধানে নিরাপত্তা বলয় আরও জোরদার করা হবে । হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে তিন শ্যুটারকে প্রয়াগরাজ থেকে প্রতাপগড় জেলে আনা হতে পারে ।
অভিযুক্তদের প্রতাপগড়ে স্থানান্তরিত করা হয়েছে: গ্রেফতারির পর এই তিনজনকে নৈনী কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল ৷ এই কারাগারে আতিক আহমেদের ছেলে-সহ তার কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহযোগীও বন্দি রয়েছে । তাই তিন শ্যুটার লাভলেশ, সানি এবং অরুণকে প্রয়াগরাজের ধুমানগঞ্জ পুলিশ প্রতাপগড় জেলা সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া। সেখান থেকে তিনজনকেই সিজেএম আদালতে হাজির করে হেফাজতে নেয় পুলিশ । এখন পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হলে তাঁদেরকে আবারও প্রতাপগড় সংশোধনাগারে ফেরত পাঠানো হতে পারে বলে জানা গিয়েছে ।
আলাদা ব্যারাকে রাখা হয়েছে অভিযুক্তদের: আতিক-আশরাফ হত্যা মামলার তিন অভিযুক্তকে প্রতাপগড় জেলা সংশোধনাগারে আলাদা আলাদা ব্যারাকে রাখা হয়েছে । দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ দু'দিক থেকে ব্যারাকগুলি বেশ ছোট । এই ব্যারাকে এমন বন্দি ও অপরাধীদের রাখা হয় যারা ভয়ঙ্কর অপরাধের আসামি বা অভিযুক্ত । এছাড়া সংশোধনাগারে থাকা অন্য বন্দির সঙ্গে এখানে থাকা আসামি বা অভিযুক্তদের কোনও যোগাযোগ থাকে না ।
আরও পড়ুন: আতিক-আশরাফকে হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি আল কায়েদার !