অমৃতসর, 17 অক্টোবর : সিঙ্ঘু সীমান্তে (Singhu Border) লখবীর সিং (Lakhbir Singh) খুনের ঘটনায় গ্রেফতার নিহাঙ্গ গোষ্ঠীর আরও এক সদস্য ৷ নাম নারায়ণ সিং (Narain Singh) ৷ শুক্রবার সকালে দিল্লি-সিঙ্ঘু সীমান্তে চাষিদের আন্দোলনস্থলের কাছে পুলিশ ব্যারিকেড থেকে এক ব্যক্তির হাত-পা কাটা দেহ ঝুলতে দেখা যায় ৷ শুক্রবার এই খুনের ঘটনার দায় স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করে সর্বজিৎ সিং নামে নিহাঙ্গ শিখ সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি ৷ শনিবার রাতে দ্বিতীয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷
ধৃত নারায়ণ সিং অবশ্য আত্মসমর্পণের কথা বলেছে ৷ তার দাবি, অমৃতসরে পুলিশের কাছে সে আত্মসমর্পণ করেছে ৷ সাংবাদিকদের নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে নারায়ণ সিং বলে, লখবীর সিংকে "পবিত্রতা নষ্ট করার জন্য শাস্তি" দেওয়া হয়েছে ৷ শুক্রবার সরবজিৎ সিংয়ের (Sarabjit Singh) গ্রেফতার কয়েক ঘণ্টা পর নিহাঙ্গ গোষ্ঠীর আরেক সদস্য নারায়ণকে অমৃতসরের স্থানীয় পুলিশ (Amritsar Rural Police) অমরকোট গ্রাম (Amarkot Village) থেকে গ্রেফতার করে ৷
আরও পড়ুন : Singhu Border Lynching Case : সিঙ্ঘু সীমানায় যুবক খুনে ধৃতের 7 দিনের পুলিশি হেফাজত
এ বিষয়ে অমৃতসরের স্থানীয় পুলিশের এসএসপি (Amritsar Rural Police SSP) রাকেশ কৌশল (Rakesh Kaushal) বলেন, "2 জন নিহাঙ্গের বিরুদ্ধে লখবীর সিংকে খুনের অভিযোগ রয়েছে ৷ একজনকে হরিয়ানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে ৷ সিং পালিয়ে গিয়েছিল ৷ আধিকারিকদের একটি দল গঠন করে তাঁর বাড়ি ঘিরে রাখে পুলিশ বাহিনী ৷ তারপর শনিবার সে পুলিশের কাছে ধরা দেওয়ার কথা জানায় ৷"
কৌশল বলেন, "আমরা নারায়ণকে তার গ্রামের গুরুদ্বারের বাইরে থেকে গ্রেফতার করেছি ৷ যখন সে বুঝতে পারে যে আর পালানো সম্ভব নয়, তখন বাইরে বেরিয়ে আসে ৷ হরিয়ানা পুলিশ আমাদের জানায় যে তারা সোনিপত থেকে রওনা দিয়েছে ৷ আমরা আইন অনুযায়ী তাকে হরিয়ানা পুলিশের হাতে তুলে দেব ৷" তিনি আরও জানান, লখবীর সিংকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে নারায়ণ ৷ সে যখন জানতে পারে যে গুরু গ্রন্থ সাহিবকে অপমান করেছে লখবীর, তখন তার মাথা গরম হয়ে যায় এবং নারায়ণ লখবীরের পা কেটে দেয় ৷ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে লখবীরের মৃত্যু হয় ৷