ETV Bharat / bharat

Laxman Vyas: কীভাবে রূপ পেল অশোক স্তম্ভ ? ইটিভি ভারতকে জানালেন স্থপতি লক্ষ্মণ ব্যাস

author img

By

Published : Jul 13, 2022, 7:50 PM IST

অশোক স্তম্ভের (Ashok Stambh) প্রতিরূপ তৈরি করে শিরোনামে জয়পুরের স্থপতি তথা ভাস্কর লক্ষ্মণ ব্য়াস (Laxman Vyas) ৷ ইটিভি ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রকল্প রূপায়ণের 'কাহিনি' শোনালেন তিনি ৷

Sculptor Laxman Vyas Exclusive Interview to ETV Bharat
Laxman Vyas: কীভাবে রূপ পেল অশোক স্তম্ভ ? ইটিভি ভারতকে জানালেন স্থপতি লক্ষ্মণ ব্যাস

জয়পুর, 13 জুলাই: অশোক স্তম্ভ (Ashok Stambh) নির্মাণের সুযোগ পাওয়া তাঁর কাছে কোনও স্বপ্ন পূরণের থেকে কম কিছু নয় ৷ ইটিভি ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে একথা জানালেন স্থপতি ও ভাস্কর লক্ষ্মণ ব্য়াস (Laxman Vyas) ৷

প্রশ্ন- নবনির্মিত এই জাতীয় প্রতীকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া কী ছিল ?

লক্ষণের উত্তর- প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আনন্দিত ছিলেন ৷ সেটা তাঁর শরীরী ভাষাতেই স্পষ্ট ছিল ৷ প্রধানমন্ত্রী আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, আমি আদতে কোথাকার বাসিন্দা ৷ আমি তাঁকে জানাই, আমি জয়পুরের লোক ৷ তারপর তিনি আমাকে বলেন, খুব ভালো কাজ হয়েছে ৷ আমাকে বেশ কয়েকবার ধন্যবাদও জানান ৷

আরও পড়ুন: National Emblem Controversy: নতুন অশোক স্তম্ভের সিংহরা 'হিংস্র', মোদিকে কটাক্ষ বিরোধীদের

প্রশ্ন- এই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে তো আপনার পাঁচ মাস সময় লেগেছে ৷ এর নকশা-সহ অন্য বিষয়গুলির ধারণা আপনি কোথা থেকে পেয়েছিলেন ?

লক্ষণের উত্তর- মূলত, সারনাথের আদলেই অশোক স্তম্ভের এই প্রতিরূপ তৈরি করা হয়েছে ৷ কিন্তু, এই কাজের জন্য যে মডেল বা নকশা ব্যবহার করা হয়েছে, তা আমাদের দিয়েছিল নির্মাণকারী সংস্থা ৷ ইতালীয় লস্ট-ওয়াক্স পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা এই মূর্তিটি তৈরি করেছি ৷ জাতীয় প্রতীকের এই আদিরূপটিতে কখনও মরচে বা জং ধরবে না ৷ কারণ, এটি তৈরির ক্ষেত্রে 90 শতাংশ তামা এবং 10 শতাংশ টিন ব্যবহার করা হয়েছে ৷

প্রশ্ন- এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছিল জয়পুরে ৷ পরে সেটি দিল্লি নিয়ে আসা হয় ৷ কীভাবে পুরো বিষয়টি সারা হয়েছিল ?

লক্ষণের উত্তর- প্রকল্পটি শেষ করতে আমাদের পাঁচমাস সময় লেগেছিল ৷ এটি তৈরি করা এবং পরে নানা খণ্ডে ভাগ করে সেটিকে দিল্লিতে নিয়ে আসা একটি বিরাট কাজ ছিল ৷ এর খণ্ডগুলি জুড়তে আরও দু'মাস সময় লেগেছিল ৷ জাতীয় প্রতীকের এই সংস্করণটির উচ্চতা 21 ফুট ৷ এটির ওজন 626 কিলোগ্রাম ৷ এটি মোট 150টি খণ্ডে বিভক্ত ছিল ৷ গ্য়াস ওয়েল্ডিং এবং অর্গ্যান পদ্ধতির মাধ্যমে অত্যন্ত পরিশ্রম করে এটিকে জোড়া হয়েছিল ৷

প্রশ্ন- এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে সবথেকে বড় প্রতিকূলতা কী ছিল ?

লক্ষণের উত্তর- কাজের চাপ ছিল মারাত্মক ৷ কারণ, আমি জাতীয় প্রতীক নিয়ে কাজ করছিলাম ৷ অশোক স্তম্ভ জাতীয় গর্বের প্রতীক ৷ ফলে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যকটি মানুষ প্রবল চাপে ছিলেন ৷

জয়পুর, 13 জুলাই: অশোক স্তম্ভ (Ashok Stambh) নির্মাণের সুযোগ পাওয়া তাঁর কাছে কোনও স্বপ্ন পূরণের থেকে কম কিছু নয় ৷ ইটিভি ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে একথা জানালেন স্থপতি ও ভাস্কর লক্ষ্মণ ব্য়াস (Laxman Vyas) ৷

প্রশ্ন- নবনির্মিত এই জাতীয় প্রতীকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া কী ছিল ?

লক্ষণের উত্তর- প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আনন্দিত ছিলেন ৷ সেটা তাঁর শরীরী ভাষাতেই স্পষ্ট ছিল ৷ প্রধানমন্ত্রী আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, আমি আদতে কোথাকার বাসিন্দা ৷ আমি তাঁকে জানাই, আমি জয়পুরের লোক ৷ তারপর তিনি আমাকে বলেন, খুব ভালো কাজ হয়েছে ৷ আমাকে বেশ কয়েকবার ধন্যবাদও জানান ৷

আরও পড়ুন: National Emblem Controversy: নতুন অশোক স্তম্ভের সিংহরা 'হিংস্র', মোদিকে কটাক্ষ বিরোধীদের

প্রশ্ন- এই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে তো আপনার পাঁচ মাস সময় লেগেছে ৷ এর নকশা-সহ অন্য বিষয়গুলির ধারণা আপনি কোথা থেকে পেয়েছিলেন ?

লক্ষণের উত্তর- মূলত, সারনাথের আদলেই অশোক স্তম্ভের এই প্রতিরূপ তৈরি করা হয়েছে ৷ কিন্তু, এই কাজের জন্য যে মডেল বা নকশা ব্যবহার করা হয়েছে, তা আমাদের দিয়েছিল নির্মাণকারী সংস্থা ৷ ইতালীয় লস্ট-ওয়াক্স পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা এই মূর্তিটি তৈরি করেছি ৷ জাতীয় প্রতীকের এই আদিরূপটিতে কখনও মরচে বা জং ধরবে না ৷ কারণ, এটি তৈরির ক্ষেত্রে 90 শতাংশ তামা এবং 10 শতাংশ টিন ব্যবহার করা হয়েছে ৷

প্রশ্ন- এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছিল জয়পুরে ৷ পরে সেটি দিল্লি নিয়ে আসা হয় ৷ কীভাবে পুরো বিষয়টি সারা হয়েছিল ?

লক্ষণের উত্তর- প্রকল্পটি শেষ করতে আমাদের পাঁচমাস সময় লেগেছিল ৷ এটি তৈরি করা এবং পরে নানা খণ্ডে ভাগ করে সেটিকে দিল্লিতে নিয়ে আসা একটি বিরাট কাজ ছিল ৷ এর খণ্ডগুলি জুড়তে আরও দু'মাস সময় লেগেছিল ৷ জাতীয় প্রতীকের এই সংস্করণটির উচ্চতা 21 ফুট ৷ এটির ওজন 626 কিলোগ্রাম ৷ এটি মোট 150টি খণ্ডে বিভক্ত ছিল ৷ গ্য়াস ওয়েল্ডিং এবং অর্গ্যান পদ্ধতির মাধ্যমে অত্যন্ত পরিশ্রম করে এটিকে জোড়া হয়েছিল ৷

প্রশ্ন- এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে সবথেকে বড় প্রতিকূলতা কী ছিল ?

লক্ষণের উত্তর- কাজের চাপ ছিল মারাত্মক ৷ কারণ, আমি জাতীয় প্রতীক নিয়ে কাজ করছিলাম ৷ অশোক স্তম্ভ জাতীয় গর্বের প্রতীক ৷ ফলে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যকটি মানুষ প্রবল চাপে ছিলেন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.