দিল্লি, 11 জানুয়ারি : কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছেই । দিল্লি সীমান্তে টানা আন্দোলন করে যাচ্ছেন কৃষকরা । এরই মাঝে আজ সুপ্রিম কোর্টে কৃষি আইন সংক্রান্ত মামলার শুনানি । কৃষি আইনগুলিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক আবেদন জমা পড়েছিল । সেই আবেদনগুলিরই আজ শুনানি হবে । পাশাপাশি, দিল্লি সীমান্তে কৃষকদের বিক্ষোভ নিয়ে যাঁরা বিভিন্ন ধরনের ইশু তুলেছেন, সেই সংক্রান্ত বিষয়েও শুনানি রয়েছে আজ । সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে মামলাগুলির শুনানি হবে ।
বাড়তে থাকা অসন্তোষের জেরে কেন্দ্রীয় সরকার একাধিকবার বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে । দফায় দফায় তাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে । তবে অষ্টম দফার বৈঠকের পরও কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি । পরবর্তী বৈঠক 15 জানুয়ারি । কৃষকরা বারবার কৃষি আইনগুলি প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন । কিন্তু কেন্দ্র তাতে রাজি নয় । পরিবর্তে কৃষি আইনগুলি সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে তারা ।
এদিকে কৃষকরাও তাঁদের দাবিতে অনড় । আমৃত্যু আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন কৃষকরা । কৃষক সংগঠনগুলির তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে "ঘর ওয়াপসি" তখনই হবে যখন "ল ওয়াপসি" হবে ।
আরও পড়ুন : 15 জানুয়ারি ফের কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক, সুপ্রিম কোর্টে বল ঠেলছে কেন্দ্র
কেন্দ্রের তরফে এর আগে সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়েছিল, "স্বাস্থ্যকর আলোচনা" চলছে । দ্রুত দু'পক্ষ কিছু একটা সমাধানের পথে আসতে পারবে ।
দিল্লি সীমান্তে যে লাগাতার কৃষক আন্দোলন চলছে, তার রেশ ছড়িয়ে পড়ছে অন্য রাজ্যগুলিতেও । আজ চেন্নাইয়ে 60 বছর বয়সি এক বৃদ্ধের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে । প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, তিনি আত্মহত্যা করেছেন । তাঁর দেহের সঙ্গে দু'পাতার একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে । সেখানে লেকা রয়েছে, "এই কৃষি আইনগুলি কৃষকদেরও উপকারে আসবে না, কর্পোরেটদেরও উপকারে আসবে না ।"