নয়াদিল্লি, 13 সেপ্টেম্বর : 20 সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার শুনানি ৷ কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার এই আবেদন করেছিল ৷ যেখানে ভোট পরবর্তী হিংসায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ৷ রাজ্য সরকারের অভিযোগ, কলকাতা হাইকোর্ট তাদের কোন বক্তব্যই শোনেনি ৷ এমনকি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের যে প্রতিনিধিদল ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রিপোর্ট পেশ করেছিল ৷ সেই দলে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিকে কমিটির সদস্য হিসেবে পাঠানো হয়েছিল বলে আজ সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিবল ৷
এ দিন বিচারপতি বিনীত সারান এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে ৷ যেখানে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিবল রাজ্যে নিয়োগ করা জাতীয় মানবাধিকার কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৷ তিনি প্রশ্ন করেন, আপনারা ভাবতে পারেন এই লোকগুলিকে (বিজেপির সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগ) নিয়োগ করা হয়েছিল তথ্য সংগ্রহের জন্য ৷ এটা কি বিজেপি তদন্ত কমিটি মহামান্য আদালত ? পাশাপাশি ধর্ষণ এবং খুনের জন্য সিবিআই তদন্ত এবং অন্যান্য ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করা হয়েছে ৷ যা সম্পূর্ণভাবে বিচারের প্রক্রিয়াকে ভাগ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সিবল ৷
আরও পড়ুন : Abhishek Banerjee : ভয় পেয়েই ত্রিপুরায় অভিষেকের পদযাত্রা রুখতে মরিয়া বিজেপি, তোপ কুণালের
এ নিয়ে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন ছিল, যদি কারও রাজনৈতিক অতীত থেকে থাকে এবং তিনি পরবর্তী সময়ে কোনও সরকারি পদে নিযুক্ত হন ৷ তবে কী, তাঁকে নিরপেক্ষ নয় ধরে নিতে হবে ? আদালতের এই প্রশ্নের জাবাবে, রাজ্যের আইনজীবী জানিয়েছেন, ওই কমিটির সদস্যরা এখনও এমন পদে নিযুক্ত রয়েছেন, যা কিনা সরাসরি বিজেপির সঙ্গে জড়িত ৷ আর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এমন ব্যক্তিকে কীভাবে কমিটিতে নিয়োগ করতে পারেন, প্রশ্ন কপিল সিবলের ৷
আরও পড়ুন : CBI : আইকোর মামলার তদন্তে সিবিআইকে সহযোগিতার আশ্বাস পার্থর
এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে অন্তর্বর্তীকালীন রায় দেওয়ার জন্য আর্জি জানান রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিবল ৷ তবে, সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷ ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়, ‘‘এমন কিছুই হবে না ৷ আমরা আগামী সোমবার এই মামলা শুনব ৷’’ অর্থাৎ, আগামী 20 সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে ৷ সেখানে ফের রাজ্য সরকারের বক্তব্য শুনবেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা ৷ সেদিনই স্থির হতে পারে, হাইকোর্টের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেবে ৷ নাকি তদন্ত যেমন চলছে, তেমনি চলবে ৷
পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফে এই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকারি নেতাদের বেছে বেছে নিশানা করা হচ্ছে ৷ মূলত সিবিআই তদন্তের নামে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ৷