পুনে, 2 মে: শরদ পাওয়ার মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন যে, তিনি এনসিপি প্রধানের পদ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷ তাঁর এই পদত্যাগের সিদ্ধান্তের পর তাঁর সঙ্গে শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরের তুলনা করেছেন শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা সঞ্জয় রাউত ৷ তিনি পাওয়ারকে 'মহারাষ্ট্রের রাজনীতির প্রাণ' বলে উল্লেখ করেছেন ৷
এ দিন রাউত টুইটে লিখেছেন, "নোংরা রাজনীতি এবং অভিযোগে বিরক্ত হয়ে শিবসেনা সুপ্রিমো বালাসাহেব ঠাকরেও শিবসেনা প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন । ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে...কিন্তু শিবসৈনিকদের ভালোবাসার কারণে তাঁকে তাঁর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হয়েছিল...বালাসাহেবের মতো পাওয়ার সাহেবও রাজ্যের রাজনীতির প্রাণ ।" রাউতের দল শিবসেনা (ইউবিটি) হল মহা বিকাশ আঘাড়ির একটি অংশ যা এনসিপি এবং কংগ্রেস নিয়ে গঠিত ।
সবাইকে অবাক করে দিয়ে শরদ পাওয়ার মঙ্গলবার বলেন যে, তিনি জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করছেন ৷ এই রাজনৈতিক দলটি তিনি 1999 সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং তার পর থেকেই তিনিই ছিলেন এই দলের মাথা ৷ তিনি তাঁর আত্মজীবনীর একটি সংশোধিত সংস্করণ প্রকাশের সময় এই ঘোষণা করেন । এই ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে পাওয়ারকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আবেদন জানান তাঁর দলের কর্মীরা ৷
শরদ পাওয়া মুম্বইয়ের যে সভায় তাঁর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন, সেখানে ছিলেন এনসিপি নেতা অনিল দেশমুখ ৷ তিনিও বলেন যে, রাজ্য এবং দেশের এখন 'পাওয়ার সাহেব' প্রয়োজন । তিনি একটি মারাঠি নিউজ চ্যানেলকে বলেছেন, "প্রত্যেকে চান যে পাওয়ার সাহেব দলের (এনসিপি) প্রধান হিসাবে থাকবেন এবং আমরা তাঁকে তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেছি ।"
চারবারের মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শরদ পাওয়ার ৷ তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা ও কৃষিমন্ত্রী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন ৷ পাওয়ার 2019 সালের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের পরে মহা বিকাশ আঘাড়ি (এমভিএ) সরকার গঠনের জন্য এনসিপি, কংগ্রেস এবং তারপরে আদর্শগতভাবে বিপরীত শিবসেনাকে নিয়ে একটি জোটকে একত্রিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ।
আরও পড়ুন: মারাঠি গ্রাম থেকে দিল্লির পাওয়ার করিডর, একনজরে শরদের রাজনৈতিক জীবন