অযোধ্যা, 22 অক্টোবর: অযোধ্যায় দীপোৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে ৷ এ বছর এই উৎসবকে ঐতিহাসিক রূপ দিতে চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখছে না প্রশাসন ৷
অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের কাজ চলছে ৷ এরই মধ্যে দীপাবলি উৎসবকে আরও জাঁকজমক করে তুলতে রামায়ণের বিভিন্ন পর্ব তুলে ধরা হচ্ছে বালি দিয়ে ৷ হ্যাঁ, কাশী বিদ্যাপীঠ ফাইন আর্টস ডিপার্টমেন্টের ছাত্র, বালু শিল্পীরা রামায়ণের 'ভরত মিলাপ', 'ত্রেতা যুগে'র প্রতীক 'রাম লক্ষ্মণ, সীতা' ৷ হিন্দুধর্মে এই যুগ দ্বিতীয় এবং একটা দীর্ঘ সময়৷ সরকার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানিয়েছে ৷
রূপেশ সিংয়ের নেতৃত্বে 20 জনের একটি দল গত দু'দিন ধরে এই কাজ করে চলেছে ৷ তিনি কাশী বিদ্যাপীঠের ফাইন আর্টস ডিপার্টমেন্টের ছাত্র ৷ বালু শিল্পী রূপেশ জানালেন, এ নিয়ে তৃতীয়বার তিনি অযোধ্যায় দীপোৎসবের অনুষ্ঠানে বালি দিয়ে শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তুলছেন ৷ রামায়ণের চরিত্রগুলি বালি দিয়ে খোদাই করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মু্খ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাজও তুলে ধরা হবে ৷ লঙ্কায় ভগবান রাম রাবণকে বধ করে৷ সেখানে জয়ের পর অযোধ্যায় ফিরে আসেন রামচন্দ্র ৷ এই পুরো ঘটনাগুলি পর্বাকারে বালি দিয়ে খোদাই করবেন শিল্পীরা ৷ ভগবান রামের পুষ্পক রথে অযোধ্যায় আগমন ৷ তারপর কেবত, এরপর ভরতের সঙ্গে মিলন এবং চরণ বন্দনা ৷ চরিত্রগুলিকে জীবন্ত করে তোলা হবে এই বালুশিল্পকর্ম দিয়ে ৷
আরও পড়ুন: কালীপুজোয় দীপোৎসব পালন করবেন মোদি, ঘুরে দেখবেন অযোধ্যার মন্দির নির্মাণের কাজ
ষষ্ঠ দীপোৎসবে 16টি ট্যাবলো থাকবে ৷ সেখানে রামায়ণের বিভিন্ন দৃশ্য জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে ৷ 23 অক্টোবর ট্যাবলো নিয়ে শোভাযাত্রা শুরু হবে সাকেত মহাবিদ্যালয় থেকে এবং শেষ হবে নয়া ঘাটে ৷ গত বছর 11টি ট্যাবলো ছিল ৷ এ বছর 16টি ৷ এই ট্যাবলোগুলিতে রামজন্মভূমি মডেল থাকবে, কাশী করিডোর, ভিশন 2047, 1090 এবং ভগবান রামের জন্ম থেকে রাজা হিসেবে অভিষেক পর্যন্ত পুরো যাত্রাপথ সাজানো হবে ৷ রামায়ণের যুগের শিক্ষার উপর ভিত্তি করে ট্যাবলোয় সামাজিক বার্তাই দীপোৎসবের মূল আকর্ষণ ৷
অযোধ্যা শোধ সংস্থানের প্রশাসনিক আধিকারিক রাম তিরথ জানান, এই রাজ্যের বহু শিল্পী এই দীপোৎসবের শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন ৷ সকাল 9টায় সাকেত মহাবিদ্যালয় থেকে এই যাত্রা শুরু হয়ে দুপুর 1টা নাগাদ গন্তব্যস্থলে পৌঁছবে ৷
আরও পড়ুন: গুজরাটের স্ট্যাচু অফ ইউনিটির থেকেও লম্বা রামের মূর্তি পাবে অযোধ্যা