মুম্বই, 13 অগস্ট: জাতি সংশাপত্র জাল করার অভিযোগ (Caste Certificate Forgery Case) থেকে নিষ্কৃতি পেলেন এনসিবি (NCB)-এর প্রাক্তন আঞ্চলিক অধিকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে (Sameer Wankhede) ৷ এই ঘটনায় তাঁকে 'ক্লিন চিট' (Clean Chit) দিয়েছে জাতি স্ক্রুটিনি কমিটি (Caste Scrutiny Committee) ৷
গত বছর মাদকপাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে (Aryan Khan) গ্রেফতার করে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন সমীর ৷ পরে তাঁর এই পদক্ষেপ নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন ওঠে ৷ একইসঙ্গে, সমীরের বিরুদ্ধেও একের পর এক অভিযোগ উঠতে শুরু করে ৷ যার মধ্য়ে অন্যতম ছিল, জাতিগত শংসাপত্র জাল করার অভিযোগ ৷ তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী নবাব মালিক (Nawab Malik) ৷ তাঁর দাবি ছিল, সরকারি চাকরি পেতেই জাতিগত শংসাপত্র জাল করেছিলেন সমীর ৷ নবাব মালিক সর্বসমক্ষে অভিযোগ করেছিলেন, জন্ম সূত্রে সমীর মুসলিম ৷ কিন্তু, তিনি কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি পেয়েছিলেন অন্য একটি সংরক্ষিত শ্রেণির আওতায় ৷
আরও পড়ুন: Sameer Wankhede : জন্মসূত্রে হিন্দু সমীর কোনও দিনই ধর্ম পরিবর্তন করেননি, দাবি স্ত্রী ক্রান্তির
যদিও জাতি স্ক্রুটিনি কমিটির দাবি, জন্মসূত্রে সমীর মোটেও মুসলিম নন ৷ ওই কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমীর ও তাঁর বাবা আদৌ কখনও মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন কিনা, সেই বিষয়ে যথাযথ কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি ৷ তাঁরা যে মাহার-37 তপশিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, এটি প্রমাণিত ৷
উল্লেখ্য, জাতিগত শংসাপত্র জাল করার অভিযোগ উঠতেই গত বছরের নভেম্বর মাসে ন্যাশনাল কমিশন ফর শিডিউল্ড কাস্ট্স-এর দিল্লির কার্যালয়ে হাজিরা দেন সমীর ৷ সেখানেই সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সামনে নিজের মামলাটি উপস্থাপন করেন ৷ কমিটির চেয়ারম্য়ান বিজয় সাম্পলা আগেই জানিয়েছিলেন, সমীর তাঁদের কাছে যেসব তথ্যপ্রমাণ ও নথি জমা দিয়েছিলেন, সেগুলি সব খতিয়ে দেখা হবে ৷ বিজয়ের বক্তব্য ছিল, "সমীরের দেওয়া নথি যদি সঠিক হয়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কেউ কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না ৷" উল্লেখ্য গত বছরেরই অক্টোবর মাসে এই কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার সমীর ওয়াংখেড়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন ৷ সেখানে তিনি বেশ কিছু আসল নথি (Original Documents) যাচাই করে দেখেন ৷