নিউ ইয়র্ক, 23 সেপ্টেম্বর : ভারতে গণতন্ত্রের শিকড় যে কত গভীরে এবং এটা যে সত্যিই কার্যকরী, তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হল দেশের রাজনীতি ও ক্রিকেট টিম ৷ এমনই মন্তব্য করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (External Affairs Minister S Jaishankar) ৷ নিউ ইয়র্কে ইন্দো-আমেরিকান আর্টস কাউন্সিলের (IAAC) ভাইস চেয়ারম্যান রাকেশ কৌলের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন ৷ তাঁর কথায়, ভারতের সংসদ, রাজনীতিতে যুক্ত ব্যক্তিরা, ক্রিকেট টিমের খেলোয়াড়দের দেখে যদি প্রশ্ন করা হয় 10, 20 বা 30 বছর আগে তাঁরা কোথায় ছিলেন, আর এখন কোথায় রয়েছেন, তাহলেই উত্তর স্পষ্ট হয়ে যাবে ৷
বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে ওই সংগঠনের তরফে ‘মোদি@20: ড্রিমস মিট ডেলিভারি’ নামে একটি বইয়ের উপর একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় ৷ সেখানেই হাজির ছিলেন জয়শঙ্কর ৷ তখন তাঁর কাছে যে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল, সেখানে ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে একটি প্রশ্ন করা হয় ৷ সেই প্রশ্নের উত্তরেই তিনি এই কথা বলেন (Jaishankar on Indian Democracy) ৷
জয়শঙ্করের কথায়, যাঁরা এই মুহূর্তে দেশের রাজনীতিতে (Indian politics) রয়েছেন বা সংসদে প্রতিনিধি, তাঁরা কোন শহর থেকে এসেছেন, কোথায় পড়াশোনা করেছেন, কোন ভাষায় তাঁরা কথা বলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন, কী খাবার খেতে তাঁরা অভ্যস্ত, দেখা যাবে পুরোটাই একেবারে আলাদা ৷ এই তত্ত্ব ভারতের ক্রিকেট টিমের (Cricket Team) ক্ষেত্রেও কার্যকরী হয় বলে জয়শঙ্করের দাবি ৷
তাঁর আরও দাবি, এই পরিবর্তন হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) জন্য ৷ দেশ কতটা বদলে গিয়েছে, সেটা মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়া দেখেই বোঝা যায় ৷
একই সঙ্গে ভোটের প্রসঙ্গও টানেন জয়শঙ্কর ৷ তিনি জানান, ভারতে নির্বাচনের প্রতি সবাই শ্রদ্ধাশীল ৷ হারজিত তো আছেই ৷ কিন্তু ভোটের পদ্ধতিকে কেউ কখনও চ্যালেঞ্জ করে না ৷ এই কথা শোনার পর সেখানে উপস্থিত দর্শকরা হেসে ওঠেন ৷ তখন তিনি জানান, তিনি শুধু ভারতের কথাই বলছেন ৷ এর সঙ্গে কিছু যোগ করা উচিত নয় ৷ পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, যাঁরা রাজনীতির লোক, তাঁরা এর অনেক দৃষ্টিকোণ বের করতেই পারেন ৷
শেষে তিনি ভারতীয়দের সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানান, ভারতীয়রা আশবাদী ৷ আর তাঁদের আশাবাদী হওয়ার জন্য অনেক ভালো ভালো কারণও রয়েছে ৷
আরও পড়ুন : নিউ ইয়র্কে ব্রিকস গোষ্ঠীর বৈঠকে সামনাসামনি চিন-ভারত বিদেশমন্ত্রী