ETV Bharat / bharat

Krishna Gopal: ইসলামিক আগ্রাসনের কারণেই বাল্য বিবাহ-সতীদাহ প্রথা আরোপ করেছিল ভারতীয় সমাজ: আরএসএস নেতা - আরএসএস নেতা

RSS blames Islamic invasion for social evils: মধ্যযুগে যখন ভারতে ইসলামিক আগ্রাসন হয়েছিল, তখন মহিলাদের আক্রমণকারীদের থেকে রক্ষা করতে তাঁদের উপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল সমাজ ৷ দাবি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের শীর্ষ কর্মকর্তা কৃষ্ণ গোপালের ।

Krishna Gopal
আরএসএস
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 4, 2023, 1:42 PM IST

নয়াদিল্লি, 4 সেপ্টেম্বর: বাল্যবিবাহ, সতীদাহ প্রথা, বিধবা বিবাহের উপর নিষেধাজ্ঞার মতো সামাজিক কুফলগুলি যা নারীদের পরাধীনতার দিকে নিয়ে গিয়েছে, তা ভারতীয় সমাজে ছড়িয়ে পড়েছিল ইসলামিক আগ্রাসনের কারণে ৷ রবিবার এমনই দাবি করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের এক নেতা ৷ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত 'নারী শক্তি সঙ্গম' শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতার সময় আরএসএস-এর শীর্ষ নেতা কৃষ্ণ গোপাল বলেন যে, মধ্যযুগে আক্রমণকারীদের থেকে মহিলাদের রক্ষা করার জন্য তাঁদের উপর বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল ৷

মধ্যযুগ অত্যন্ত কঠিন সময় ছিল বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "পুরো দেশ পরাধীনতার সঙ্গে লড়াই করছিল । মন্দির ভেঙে ফেলা হয়েছে, বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস হয়েছে এবং নারীরা বিপদে পড়েছে । লক্ষ লক্ষ নারীকে অপহরণ করে সারা বিশ্বের বাজারে বিক্রি করা হয়েছে । (আহমদ শাহ) আবদালি, (মহম্মদ) ঘোরি, গজনীর মাহমুদ-সহ সবাই এখান থেকে নারীদের নিয়ে গিয়ে সারা বিশ্বের বাজারে বিক্রি করেছে । এটা একটা বড় অপমানের যুগ ছিল ৷"

আরএসএস নেতার দাবি, সেই কারণেই নারী ও মেয়েদের সুরক্ষার জন্য, এই সমাজ তাঁদের উপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল এবং "ফলস্বরূপ, তাঁরা স্কুলে, গুরুকুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়... এবং অশিক্ষিত হয়ে পড়ে ৷" তাঁর আরও দাবি, বাল্যবিবাহের প্রথা শুরু হয়েছিল কারণ লোকেরা তাদের মেয়েদের আক্রমণকারীদের থেকে রক্ষা করার জন্য অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দিত ৷

কৃষ্ণ গোপাল আরও বলেন, "আমাদের দেশে সতী প্রথা ছিল না.... কিন্তু জওহর (আত্মদাহ) ঘটতে শুরু করে, মহিলারা সতী হতে শুরু করেন । বিধবাদের পুনর্বিবাহের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় এবং যুদ্ধে বিপুল সংখ্যক পুরুষ নিহত হন, ফলে পুরুষদের ঘাটতি হয় ।" গোপালের দাবি, ইসলামিক আগ্রাসনের আগে, মহিলারা 'শাস্ত্রথ' (পণ্ডিত বিতর্ক) তে অংশ নিতেন, এমনকী বেদের শ্লোকও বলতেন ।

আরএসএস নেতা বলেন, বছরের পর বছর ধরে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়েছে, মেয়েরা আজ বোর্ড পরীক্ষায় ছেলেদের ছাড়িয়ে যাচ্ছে এবং নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশাল অবদান রাখছেন । তবে, তিনি পশ্চিমা সংস্কৃতির দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার বিরুদ্ধে মহিলাদের সতর্ক করেছেন এবং তাঁদের সন্তানদের ভারতীয় মূল্যবোধগুলি শেখানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন ।

আরও পড়ুন: সনাতন ধর্মকে অপমান করছে 'ইন্ডিয়া', অভিযোগ শাহের

গোপালের কথায়, "আমাদের দেশের নারীদের পশ্চিমা প্রভাবের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে... প্রযুক্তি ব্যবহার করুন, বিমান চালান, ইসরোতে কাজ করুন, একজন বিজ্ঞানী, ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হন -- যা খুশি করুন, কিন্তু একজন মহিলা থাকুন ৷ একজন মহিলা তাঁর পরিবারের প্রধান, তিনি তাঁর সন্তানদের মূল্যবোধ গডে় তুলবেন ৷"

আরএসএস নেতা আরও বলেন যে, পরিবারের যত্ন নেওয়া এবং বাড়িতে রান্নাঘর পরিচালনা করা মহিলাদের কাছে কেরিয়ারের মতোই গুরুত্বপূর্ণ । তাঁর কথায়, "আপনি কি জানেন যে নেহরুজি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন ইন্দিরাজি (প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি) তাঁর রান্নাঘর নিজেই পরিচালনা করতেন ?" (সংবাদসংস্থা পিটিআই)

নয়াদিল্লি, 4 সেপ্টেম্বর: বাল্যবিবাহ, সতীদাহ প্রথা, বিধবা বিবাহের উপর নিষেধাজ্ঞার মতো সামাজিক কুফলগুলি যা নারীদের পরাধীনতার দিকে নিয়ে গিয়েছে, তা ভারতীয় সমাজে ছড়িয়ে পড়েছিল ইসলামিক আগ্রাসনের কারণে ৷ রবিবার এমনই দাবি করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের এক নেতা ৷ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত 'নারী শক্তি সঙ্গম' শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতার সময় আরএসএস-এর শীর্ষ নেতা কৃষ্ণ গোপাল বলেন যে, মধ্যযুগে আক্রমণকারীদের থেকে মহিলাদের রক্ষা করার জন্য তাঁদের উপর বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল ৷

মধ্যযুগ অত্যন্ত কঠিন সময় ছিল বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "পুরো দেশ পরাধীনতার সঙ্গে লড়াই করছিল । মন্দির ভেঙে ফেলা হয়েছে, বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস হয়েছে এবং নারীরা বিপদে পড়েছে । লক্ষ লক্ষ নারীকে অপহরণ করে সারা বিশ্বের বাজারে বিক্রি করা হয়েছে । (আহমদ শাহ) আবদালি, (মহম্মদ) ঘোরি, গজনীর মাহমুদ-সহ সবাই এখান থেকে নারীদের নিয়ে গিয়ে সারা বিশ্বের বাজারে বিক্রি করেছে । এটা একটা বড় অপমানের যুগ ছিল ৷"

আরএসএস নেতার দাবি, সেই কারণেই নারী ও মেয়েদের সুরক্ষার জন্য, এই সমাজ তাঁদের উপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল এবং "ফলস্বরূপ, তাঁরা স্কুলে, গুরুকুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়... এবং অশিক্ষিত হয়ে পড়ে ৷" তাঁর আরও দাবি, বাল্যবিবাহের প্রথা শুরু হয়েছিল কারণ লোকেরা তাদের মেয়েদের আক্রমণকারীদের থেকে রক্ষা করার জন্য অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দিত ৷

কৃষ্ণ গোপাল আরও বলেন, "আমাদের দেশে সতী প্রথা ছিল না.... কিন্তু জওহর (আত্মদাহ) ঘটতে শুরু করে, মহিলারা সতী হতে শুরু করেন । বিধবাদের পুনর্বিবাহের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় এবং যুদ্ধে বিপুল সংখ্যক পুরুষ নিহত হন, ফলে পুরুষদের ঘাটতি হয় ।" গোপালের দাবি, ইসলামিক আগ্রাসনের আগে, মহিলারা 'শাস্ত্রথ' (পণ্ডিত বিতর্ক) তে অংশ নিতেন, এমনকী বেদের শ্লোকও বলতেন ।

আরএসএস নেতা বলেন, বছরের পর বছর ধরে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়েছে, মেয়েরা আজ বোর্ড পরীক্ষায় ছেলেদের ছাড়িয়ে যাচ্ছে এবং নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশাল অবদান রাখছেন । তবে, তিনি পশ্চিমা সংস্কৃতির দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার বিরুদ্ধে মহিলাদের সতর্ক করেছেন এবং তাঁদের সন্তানদের ভারতীয় মূল্যবোধগুলি শেখানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন ।

আরও পড়ুন: সনাতন ধর্মকে অপমান করছে 'ইন্ডিয়া', অভিযোগ শাহের

গোপালের কথায়, "আমাদের দেশের নারীদের পশ্চিমা প্রভাবের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে... প্রযুক্তি ব্যবহার করুন, বিমান চালান, ইসরোতে কাজ করুন, একজন বিজ্ঞানী, ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হন -- যা খুশি করুন, কিন্তু একজন মহিলা থাকুন ৷ একজন মহিলা তাঁর পরিবারের প্রধান, তিনি তাঁর সন্তানদের মূল্যবোধ গডে় তুলবেন ৷"

আরএসএস নেতা আরও বলেন যে, পরিবারের যত্ন নেওয়া এবং বাড়িতে রান্নাঘর পরিচালনা করা মহিলাদের কাছে কেরিয়ারের মতোই গুরুত্বপূর্ণ । তাঁর কথায়, "আপনি কি জানেন যে নেহরুজি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন ইন্দিরাজি (প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি) তাঁর রান্নাঘর নিজেই পরিচালনা করতেন ?" (সংবাদসংস্থা পিটিআই)

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.