নয়াদিল্লি, 22 সেপ্টেম্বর: অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশনের প্রধান (Imam Umer Ahmed Ilyasi) ড. ইমাম উমের আহমেদ লিয়াসি-সহ (Bhagwat meets AIIO Head) বেশ কয়েকজন মুসলিম বিদ্বজনের সঙ্গে দেখা করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান (RSS Chief) মোহন ভাগবত ৷ বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে একটি মসজিদে এই বৈঠক হয় ৷ হিজাব বিতর্ক, জ্ঞানবাপী ও শান্তি সম্প্রীতি রক্ষার বিষয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে বলে দাবি করেছে আরএসএস-এর ঘনিষ্ঠ সূত্র (Mohan Bhagwat)৷
মোহন ভাগবত ছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ড. কৃষ্ণ গোপাল, ইন্দ্রেশ কুমার, রামলাল ও করীশ কুমারের মতো আরএসএস-এর শীর্ষ নেতারা ৷ সংঘের অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেদকর সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, এই বৈঠক 'সংবাদ' প্রক্রিয়ারই একটি অংশ ৷ তিনি বলেন, "আরএসএস সরসংঘচালক সব ক্ষেত্রের মানুষদের সঙ্গেই দেখা করছেন ৷ প্রতিনিয়ত যে সংবাদ প্রক্রিয়া চলছে এটা তারই অংশ ৷"
কর্নাটকের কলেজে হিজাব নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল ৷ বর্তমানে সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে ৷ জ্ঞানবাপী বিতর্ক মাথাচাড়া দেওয়ার পরও আরএসএস প্রধান মুসলিম সম্প্রদায়ের বিদ্বজন ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে দেখা করেন ৷ গত মঙ্গলবার মুসলিম বিদ্বজনদের সঙ্গে দেখা করে সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয় এবং দেশে ধর্মীয় ভিত্তিগুলিকে আরও মজবুত করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন তিনি ৷ আরএসএস-অর ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, দলের ভাবনাকে ছড়িয়ে দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ৷ ওই বৈঠকে হিজাব বিতর্ক, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও নানা বিষয়ে কথা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: দেশে আদর্শ সমাজ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে আরএসএস, দাবি মোহন ভগবতের
সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশি, দিল্লির প্রাক্তন উপরাজ্যপাল নজিব জং, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন চ্যান্সেলর লেফটেন্যান্ট জেনারেল জমীর উদ্দিন শাহ, প্রাক্তন সাংসদ শাহিদ সিদ্দিকী ও ব্যবসায়ী সইদ শেরবানি ৷
রাম মন্দির নিয়ে রায়দানের সময়ও এই একই উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছে আরএসএস-কে ৷ শীর্ষ আরএসএস নেতারা মুসলিম বিদ্বজনেদের সঙ্গে কথা বলে দলের বার্তা তাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন ৷ জানিয়েছিলেন, রায় যারই পক্ষে যাক, দল তা শান্তিপূর্ণ ভাবে মেনে নেবে ৷ 2019 সালে আর্শাদ মাদানির সঙ্গে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের বৈঠকও সবার নজর কেড়েছিল ৷ নাগরিকরা যে ধর্মেরই হোন, জাতীয়তাবোধ যেন তাঁদের হৃদয়ে থাকে, সেই বার্তাই দিতে চেয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ৷