বেঙ্গালুরু, 7 অক্টোবর: স্বামীর পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহারের আবেদন জানানোর আইনি অধিকার নেই স্ত্রীর ৷ এই নির্দেশ দিল কর্ণাটক হাইকোর্টের ৷ শুধু স্ত্রী নয়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সন্তানদেরও পদত্যাগ পত্র তুলে নেওয়ার কোনও অধিকার নেই ৷ সম্প্রিত কর্ণাটকের মান্ডা জেলার মদ্দুর এলাকার বাসিন্দা ডি ভেঙ্কটেশ কর্মক্ষেত্রে ইস্তাফা দেন ৷ আদবেদন প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছিলেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী ৷ এরপর সংশ্লিষ্ট সংস্থা ইস্তফাপত্রে গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয় ৷ এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কর্ণাটক হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে ছিলেন ওই সংস্থার অন্য এক কর্মী ৷ আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চ জানায় পরিবারের ইচ্ছে মতো কারও ইস্তফাপত্র ফিরিয়ে নেওয়া যায় না। এই রায়ের বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন ভেঙ্কটেশ।সেই পরিপ্রেক্ষিতেই কর্ণাটক হাইকোটের প্রধান বিচারপতি প্রসন্ন বালাচন্দ্র ভারালে এবং বিচারপতি কৃষ্ণ এস দীক্ষিতের বেঞ্চ এই আবেদনের শুনানি করে সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখে।
বিচারপতিদের ওই বেঞ্চ রায় দিয়েছে, ওই কর্মচারী ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছন ৷ উদাহরণ স্বরূপ দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায় ওই পরিবারের জন্য ওই কর্মচারী চাকরি করা প্রয়োজন ৷ কিন্তু তিনি তা করতে চাইছেন না ৷ বিষয়টি তৃষ্ণার্ত ঘোড়াকে জল খাওয়াতে জন্য জোর করে নদীর দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার মতো ৷ ঘোড়াকে নদীর পারে নিয়ে যাওয়া যায় কিন্তু জল খেতে বাধ্য করা যায় না। ঠিক সেভাবেই ওই কর্মচারী স্বেচ্ছায় ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছন ৷ সংশ্লিষ্ট সংস্থা সেটি গ্রহণের আগে তিনি নিজেই সেটি প্রত্যাহার করতে পারবেন ৷ পরিবর্তে তাঁর স্ত্রী অথবা ছেলে মেয়েরা সেই কাজ করতে পারেন না ৷ আইনত সেই অধিকার স্ত্রী ও তাঁর সন্তানদের নেই বলেই জানিয়েছে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ৷
জানা গিয়েছে, কর্ণাটকের মান্ডা জেলার মদ্দুর এলাকার ডি ভেঙ্কটেশ প্রাইমারি অ্যাগ্রিকালচারাল ফার্মার কোপারেটিভ সোসাইটিতে কর্মরত ছিলেন ৷ 2021 সালের 11 নভেম্বর মাসে তিনি ইস্তফা দেন ৷ ওই কর্মচারীর স্ত্রী স্বামীর ইস্তফাপত্র প্রত্যাহারের অনুমতি চেয়ে সংস্থায় একটি চিঠি জমা দেন। তার ভিত্তিতে ইস্তফাপত্র গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয় সমিতি ।
আরও পড়ুন: 60 বোতল মদ সাবাড়, উৎসবের মরশুমে সুরায় মত্ত ইঁদুরও
সমিতির সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি সংস্থার অন্য এক কর্মী। তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন। শুনানির পর সিঙ্গল বেঞ্চ সমিতির সিদ্ধান্ত খারিজ করে জানিয়ে দেয় এভাবে অন্য কারও চিঠির ভিত্তিতে পদত্যাগ পত্র খারিজ করা যায় না। 2022 সালের 13 অক্টোবর সেই রায় দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ ৷ এরই বিরোধিতা করে ভেঙ্কটেশ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন। এবার সেখানেও তাঁকে ধাক্কা খেতে হল।