উজ্জয়িনী, 27 সেপ্টেম্বর: অর্ধ-নগ্ন এক নাবালিকা ৷ রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ঘুরছে ৷ পথচলতি মানুষের কাছে সাহায্য চাইছে ৷ কিন্তু কেউ এগিয়ে আসছে না সাহায্যের জন্য ৷ এভাবে প্রায় আড়াই ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পর রাস্তার পাশেই পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায় মেয়েটি ৷ পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে ৷ তার যৌনাঙ্গ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷
সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে ৷ সেখানে বদনগর রোডে ডান্ডি আশ্রম রয়েছে ৷ সেই আশ্রমের সামনে থেকে স্থানীয় মহাকাল থানার পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে ৷ মেয়েটি আপাতত ইন্দোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেছে ৷ অভিযুক্তদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে ৷
রক্তাক্ত নাবালিকা উদ্ধার উজ্জয়িনীতে: সোমবার সন্ধ্যায় উজ্জয়িনীর মহাকাল থানা এলাকার বদনগর রোডে অবস্থিত ডান্ডি আশ্রমের কাছে একটি মেয়েকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। মেয়েটি রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই মহাকাল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়৷ পুলিশ মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।কিন্তু মেয়েটির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ইন্দোরে রেফার করা হয়৷
উজ্জয়িনীতে নাবালিকাকে ধর্ষণ: ইন্দোরে একটি হাসপাতালে মেয়েটিকে নিয়ে যায় পুলিশ ৷ সেখানে যাওয়ার পরই ধর্ষণের বিষয়টি সামনে আসে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, সেখানে চিকিৎসকরা প্রাথমিক পরীক্ষার পরই ধর্ষণের বিষয়টি জানান ৷ চিকিৎসকরা আরও জানান, মেয়েটির বয়স 12 বছরের আশপাশে ৷ তার যৌনাঙ্গ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ সেই কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণও হয়েছে ৷
আপাতত আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার চিকিৎসা চলছে ৷ রক্তের প্রয়োজন মিটিয়েছে পুলিশই ৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছে যে মেয়েটির ডায়াবেটিসও রয়েছে ৷ ফলে চিকিৎসার ক্ষেত্রে তাঁদের সেই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হচ্ছে ৷
সিসিটিভি ফুটেজে অমানবিক চিত্র: ধর্ষণের বিষয়টি সামনে আসার পরই উজ্জয়িনীর পুলিশ সুপার সচিন শর্মা একটি বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করে ৷ সেই দল তদন্তে নেমে প্রথমে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ৷ আর তা দেখতে গিয়েই সামনে আসে অমানবিক ছবি ৷
ওই ফুটেজে পুলিশ দেখেছে, ইন্দোর রোডের ইনার রিং রোডের সাভরা খেদি কলোনিতে অর্ধ-নগ্ন অবস্থায় ঘোরাফেরা করছে মেয়েটি ৷ এক যুবকের কাছেও সাহায্য চাইছে ৷ কিন্তু যুবক তাকে সাহায্য করেনি ৷ এভাবে আরও অনেকের কাছে সাহায্য চায় ৷ কিন্তু তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি৷ এভাবেই চলতে থাকা আড়াই ঘণ্টা ৷
সিসিটিভি ফুটেজেই স্পষ্ট মেয়েটি অর্ধনগ্ন অবস্থায় রয়েছে ৷ এভাবেই হাঁটতে হাঁটতে মেয়েটি বদনগর ডান্ডি আশ্রমের দিকে এগিয়ে যায় ৷ তার পর সেখানেই রাস্তায় পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায় ৷
পুলিশের বক্তব্য: উজ্জয়িনীর পুলিশ সুপার সচিন শর্মা জানিয়েছেন, মেয়েটির সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কথা হয়েছে ৷ মেয়েটির বাড়ি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে৷ সেখান থেকেই সে উজ্জয়িনীতে আসে ৷ তার সঙ্গে তার মা ছিল ৷ সেই মহিলার এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ৷ মেয়েটির কথা থেকে পরিষ্কার যে মা-মেয়ে দু’জনে একসঙ্গে বিপদে পড়েন ৷
পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে ৷ অভিযুক্তদের সন্ধান চলছে ৷ তাছাড়া মেয়েটির মাকেও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে ৷ অজ্ঞাত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে সহকর্মীদের নিয়ে তরুণীকে গণধর্ষণ পুলিশ ইনচার্জের