জয়পুর, 6 ডিসেম্বর: শ্রী রাষ্ট্রীয় রাজপুত করণি সেনার জাতীয় সভাপতি সুখদেব সিং গোগামেডির খুনে জড়িত দু’জনকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হল রাজস্থান পুলিশ ৷ পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজে যে দুই শ্যুটারকে দেখা গিয়েছে, তার মধ্যে একজন রোহিত রাঠোর এবং দ্বিতীয়জন নিতিন ফৌজদার ৷
অভিযুক্ত নিতিন একজন সেনাকর্মী ৷ তিনি হরিয়ানার বাসিন্দা ৷ নিতিন নভেম্বর মাসে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফেরেন এবং ঝটওয়ারায় তাঁর একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে ৷ সূত্রের খবর, হরিয়ানার বাসিন্দা নিতিন রাজস্থানের এক মহিলাকে বিয়ে করেছেন । অন্যদিকে রোহিত রাঠোর রাজস্থানের নাগৌরের বাসিন্দা ৷
রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরের শ্যামনগর থানা এলাকায় থাকতেন গোগামেডি ৷ সেখানেই মঙ্গলবার বিকেলে সুখদেব সিং গোগামেডিকে দু’জন গুলি করে ৷ সুখদেব সিং গোগামেডি চারটি বুলেটে আহত হন এবং তাঁকে মানসরোবরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।
সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সুখদেব সিং গোগামেডির সহযোগী নবীন ৷ তিনিও গুলিতে নিহত হন ৷ সুখদেব সিং গোগামেডির ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী অজিত সিং গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । রোহিত ও নিতিন গুলি করার পর পালাতে সক্ষম হন ৷ তৃতীয়জন পালাতে পারেননি ৷ তাঁকে গোগামেডির রক্ষীরা গুলি করে মারেন ৷ নিহতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি ৷
রাজস্থান পুলিশের ডিজি উমেশ মিশ্র জানান যে আততায়ীরা কথা বলার অজুহাতে গোগামেডির বাড়িতে প্রবেশ করেছিল । গোগামেডির সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কথা বলার পর গুলি চালায় ৷ যার ফলে করণি সেনার ওই নেতা নিহত হন ৷ রোহিত গোদারা গ্যাং এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে ৷
উমেশ মিশ্র আরও জানান, বিকানের ও সংলগ্ন জেলাগুলি-সহ আশপাশের এলাকায় অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু করা হয়েছে ৷ এমনকী হামলাকারীদের ধরতে হরিয়ানা পুলিশের কাছ থেকেও সহায়তা চাওয়া হচ্ছে । খুব শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে ৷
এদিকে গোগামেডির হত্যার পর রাজপুত সম্প্রদায় রাজস্থানে ব্যাপক বিক্ষোভ করছে বলে জানা গিয়েছে ।
আরও পড়ুন: