জয়পুর, 25 নভেম্বর: ভোটের দিন একাধিক খণ্ডচিত্র ধরা পড়ল রাজস্থান জুড়ে ৷ তার মধ্যে অবশ্যই একদিকে এক এনআরআই দম্পতি যারা জয়পুরে তাদের ভোট দিয়েছেন ৷ একই সঙ্গে, দীপাবলির উপরও গণতন্ত্রের উৎসবকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন এই দম্পতি ৷ অন্যদিকে, নববধূ তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য বিদায় একদিনের জন্য পিছিয়ে দিয়েছে।
দু'টি ঘটনা জয়পুরের হাওয়া মহল বিধানসভা কেন্দ্র এবং আমের বিধানসভা কেন্দ্রের জাজোলাই তালাইতে ঘটেছে ৷ প্রথম ক্ষেত্রে জানা গিয়েছে, দীপাবলির উৎসবে বাড়িতে না এসে গণতন্ত্রের উৎসবে অংশ নিতে লন্ডন থেকে এসেছেন ওই দম্পতি। আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে, এক মহিলা গত 24 নভেম্বর যার বিয়ে হয়েছিল, ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য তিনি শ্বশুরবাড়ি যাওয়া আপাতত স্থগিত রেখেছিলেন। সকাল সাতটা থেকেই রাজস্থানের ভোটারদের ভোট কেন্দ্রের সামনে সারিবদ্ধ অবস্থায় দেখা গিয়েছে। নববিবাহিত দিব্যা ওরফে অঞ্জলী শুক্রবার বিয়ের পর তার বাপের বাড়ি ছেড়ে যাননি ৷ তিনি সাফ জানিয়েছেন, শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার আগে ভোট দেবেন। তাঁর দাবি, তাঁর একটি ভোট ফলাফলকেও প্রভাবিত করতে পারে ৷ তাই তাঁর মতো অনেকেই কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি।
অন্যদিকে, লন্ডনে একটি কোম্পানিতে কর্মরত কৃষ্ণা গোয়েল ভোট দিয়ে জানান, তিনি সাধারণত বছরে একবার দীপাবলির সময় বাড়িতে আসেন। কিন্তু এবার নির্বাচনের কারণে তিনি তাঁর পরিকল্পনা পালটে এদিন লন্ডন থেকে জয়পুরে এসেছেন ৷ কৃষ্ণা গোয়েল বলেন, "এলাকার উন্নয়নের জন্য নেতাদের নির্বাচন করা আমাদের কর্তব্য ৷ তাদের নির্বাচন সঠিকভাবে করা নাগরিকদের দায়িত্ব ৷" তাঁর স্ত্রী নমিতা জানিয়েছেন, তারা প্রতি বছর জয়পুরে তাদের পরিবারের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করেন। তিনি বলেন, "তবে এবার আমরা দীপাবলিতে আসিনি যাতে ভোটের সময় আসতে পারি। আমরা লন্ডনে দীপাবলি উদযাপন করেছি এবং এখানে গণতন্ত্রের উৎসব উদযাপন করতে এসেছি ৷"
দিব্যা জানান, তার শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পর্ব শুক্রবারের পরিবর্তে এদিন সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৷ কারণ হিসাবে তাঁর দাবি, তিনি একজন ভাল নেতা বেছে নিতে চেয়েছিলেন ৷ যিনি এলাকার জন্য কাজ করতে পারেন। তাঁর স্বামী জিতেন্দ্রও তাঁকে সমর্থন করে বলেন, "সেরা নেতা নির্বাচন করা এবং নিশ্চিত করা নাগরিকদের দায়িত্ব।"
আরও পড়ুন
কেরালার মতো নির্বাচনী মিথ ভাঙবে রাজস্থানেও, ফের কংগ্রেসের সরকার নিয়ে আশাবাদী গেহলত