নয়াদিল্লি, 15 জুলাই : মোদি-পদবি অবমাননা মামলায় শাস্তি এড়াতে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাহুল গান্ধি । গুজরাত হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই শীর্ষ আদালতে পালটা আবেদন রাহুলের। সুরাতের নিম্ন আদালত রাহুলকে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেয়। রাহুলকে 2 বছরের কারাদণ্ডের যে সাজা সুরাত আদালত দেয়, সেই সাজার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে গুজরাত হাইকোর্টে আবেদন করেন রাহুল । সেখানেও তাঁকে নিরাশ হতে হয় ৷ গুজরাত হাইকোর্ট রাহুলের সাজার রায় বহাল রাখে। এবার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের শরণাপন্ন রাহুল ।
গত 23 মার্চ রাহুল গান্ধিকে দোষী সাব্যস্ত করে 2 বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনায় সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট । 'মোদি-পদবি অবমাননা' মামলায় রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে সুরাত আদালত । 24 মার্চ সুরাত আদালতের রায়ের ভিত্তিতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন ৷ এবার 7 জুলাই গুজরাত হাইকোর্টে তাঁর আবেদন খারিজ হওয়ায় চিন্তায় পড়ে যান রাহুল । তাই, হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি ।
গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্চাক রাহুল গান্ধির সাজা বহাল রাখেন। আদালতে রাহুলের আইনজীবী আবেদনে জানান, সাজা বহাল থাকলে রাহুলের সাংসদ পদ পুরোপুরি বাতিল হয়ে যাবে । এই রায় রাহুল গান্ধির রাজনৈতিক জীবন ও যে কেন্দ্রের তিনি প্রতিনিধি তাঁর পক্ষে ক্ষতিকারক । যদিও সেই আবেদনকে গুরুত্ব না-দিয়েই সুরাত আদালতের রায় বহাল রাখে গুজরাত হাইকোর্ট ।
2019 সালে কর্ণাটকে ভোটের প্রচারে গিয়ে রাহুল গান্ধি বলেছিলেন, 'যাঁরাই দুর্নীতি করছে তাঁদেরই পদবি মোদি, আইপিএল লুঠ করেছেন ললিত মোদি, নীরব মোদি টাকা লুঠ করে পালিয়েছেন, আর যিনি পালাতে সাহায্য করেছেন তিনিও মোদি।' সেই সময়ই রাহুলের বিরুদ্ধে সুরাত আদালতে মামলা করেন বিজেপির সাংসদ। জেলযাত্রা ঠেকাতে রাহুলকে 30 দিনের মধ্যে সুরাত আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চতর আদালতে যেতে হতো ৷ সেই পদ্ধতিতেই এগিয়েছেন রাহুল ৷ গুজরাত হাইকোর্ট রায় বহাল রাখায়, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাহুল ।