নয়াদিল্লি, 11 মে : দু'দিন ধরেই উত্তরপ্রদেশ, বিহারের গঙ্গায় মৃতদেহ ভাসতে দেখা গিয়েছে ৷ গতকালই বিহারের বক্সারের গঙ্গায় 50টি মৃতদেহ ভেসে উঠেছে ৷ আজ আবার গাজ়িয়াবাদের গঙ্গায় সার সার মৃতদেহ ৷ দেহগুলি করোনা রোগীর কি না তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা ৷ উত্তরপ্রদেশ, বিহারের এই ভয়ংকর পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টুইটারে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধি ৷
আজ হিন্দিতে একটি টুইট করেন রাহুল গান্ধি ৷ টুইটে লেখেন, নদীতে সার সার মৃতদেহ ভাসছে ৷ হাসপাতালে শুধু মাইলের পর মাইল লম্বা লাইন ৷ জীবন সুরক্ষার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে ৷ আর প্রধানমন্ত্রী এসব কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না ৷ গোলাপি চশমা পরে বসে আছেন ৷ তার চোখে এখন শুধু নতুন সংসদ ভবন ৷
-
नदियों में बहते अनगिनत शव
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) May 11, 2021 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
अस्पतालों में लाइनें मीलों तक
जीवन सुरक्षा का छीना हक़!
PM, वो गुलाबी चश्में उतारो जिससे सेंट्रल विस्टा के सिवा कुछ दिखता ही नहीं।
">नदियों में बहते अनगिनत शव
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) May 11, 2021
अस्पतालों में लाइनें मीलों तक
जीवन सुरक्षा का छीना हक़!
PM, वो गुलाबी चश्में उतारो जिससे सेंट्रल विस्टा के सिवा कुछ दिखता ही नहीं।नदियों में बहते अनगिनत शव
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) May 11, 2021
अस्पतालों में लाइनें मीलों तक
जीवन सुरक्षा का छीना हक़!
PM, वो गुलाबी चश्में उतारो जिससे सेंट्रल विस्टा के सिवा कुछ दिखता ही नहीं।
বর্তমানে একটা ভয়ংকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে গোটা দেশ ৷ একদিকে করোনার বাড়বাড়ন্ত ৷ অন্যদিকে, বেডের অভাব ৷ অক্সিজেনের অভাব ৷ প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে ৷ উত্তরপ্রদেশের অবস্থা আরও খারাপ ৷ শ্মশানগুলিতে পর্যন্ত লম্বা লাইন ৷ বিরোধীদের অভিযোগ, পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ যোগী প্রশাসন অনেক কিছু লুকিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে ৷ সেই কারণে মৃতদেহগুলি না পুড়িয়ে নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ৷ যদিও প্রশাসনের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে ৷
আজ সকালেও গাজ়িপুরের গঙ্গায় একাধিক মৃতদেহ ভেসে উঠেছে ৷ এই মৃতদেহগুলি কোথা থেকে কীভাবে এল সবটা নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে ৷ প্রশাসনের তরফেও কোনও সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না ৷ তাদের একটাই দাবি, মৃতদেহহুলি কোথা থেকে এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ দুইদিন ধরে এই পরিস্থিতি তৈরি পরও মোদি সরকার কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে বলা চলে ৷ আর এই নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা ৷ রাহুল গান্ধির কথায়, নরেন্দ্র মোদির চোখে এখন গোলাপি চশমা ৷ তিনি তাঁর নতুন সংসদ ভবন ছাড়া কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না ৷
আরও পড়ুন, কাল থেকে 10 দিনের সম্পূর্ণ লকডাউন তেলাঙ্গানায়
প্রসঙ্গত, সেন্ট্রাল ভিস্তা বা নয়া সংসদ ভবন তৈরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের প্রকল্প ৷ অতিমারির আগে গোটা দেশের অর্থনীতির গ্রাফ যখন ক্রমশ নিম্নমুখী, ঠিক তখনই এমন একটা প্রকল্প রূপায়ন কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে ৷ সেই প্রশ্ন আরও জোরদার হয় করোনা আবহে ৷ লকডাউন, নিউ নরম্য়ালের ধাক্কা কাটাতে না কাটাতেই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে গোটা দেশে ৷ অক্সিজেনের অভাবে শুরু হয় হাহাকার ৷ তারপরও নতুন সংসদ ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত থেকে সরেনি নরেন্দ্র মোদির সরকার ৷ এমনকি, অতিমারির আবহে লকডাউন জারি হলেও যাতে সেন্ট্রাল ভিস্তার নির্মাণকাজ বন্ধ না হয়, সেই রাস্তা পাকা করা হয়েছে ৷ 20 হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পকে ‘জরুরি পরিষেবা’ হিসাবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র !
গোটা ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ বিরোধীরা ৷ কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন দলের নেতানেত্রীরা এই বিষয়ে কেন্দ্রের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন ৷ সুপ্রিম কোর্টেও মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ আগেও এই নিয়ে সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধি ৷ করোনা সংক্রমণের জেরে দেশের পরিস্থিতি বেসামাল, তখন কেন এই প্রকল্পকে ছাড়পত্র দেওয়া হল তিনি সেই প্রশ্ন তোলেন ৷ তিনি এই প্রকল্পকে ‘অপরাধমূলক অপব্যবহার’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন ৷ আজ টুইটারে দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরে আরও একবার সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রসঙ্গে মোদির বিরুদ্ধে সরব হলেন রাহুল গান্ধি ৷