নয়াদিল্লি, 24 নভেম্বর: অবশেষে আশার আলো। কাতারের নৌসেনার 8 প্রাক্তন জওয়ানের মুক্তির আবেদনে সাড়া দিল স্থানীয় আদালত। গুপ্তচর বৃত্তির দায়ে এই আটজনকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছিল আগে। এরপর সেই রায়ের বিরুদ্ধে নতুন করে আবেদন করা হয় ভারতের তরফে। তাতেই মিলল স্বস্তি। কাতারের আদালত সেই মামলা শুনতে রাজি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কাতারের আদালত ফাঁসির সাজা দেওয়ার পর থেকেই তৎপর বিদেশ মন্ত্রক। এ মাসের 7 তারিখ প্রথম বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তখনই মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান, ভারত সরকার কাতার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এই ঘটনায় কীভাবে এগোনো সম্ভব তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর ঠিক দু'দিন বাদে আবারও প্রতিক্রিয়া দেন অরিন্দম।
তিনি আরও জানান, এই নৌসেনা জওয়ানদের নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করা হচ্ছে। তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। তাই এই ধরনের ঘটনা থেকে সকলেই বিরত থাকুন। সেদিনই তিনি উল্লেখ করেন, কাতারের আদালতের রায় 'গোপন'। সেটি প্রকাশ্যে আসেনি। ভারতের তরফে আবেদন করা হয়েছে। কূটনৈতিক স্তরে তৎপরতার পাশাপাশি, বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আটক জওয়ানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন।
গুপ্তচর সন্দেহে 2022 সালের অগস্ট মাসে এই আটজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর শুরু হয় বিচার পক্রিয়া। তাতে ভারতের তরফে কোনও উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ ছিল না। আদালত এই আটজনকে ফাঁসির সাজা দেয়। তবে এবার তার বিরুদ্ধে আবেদন জানাবার সুযোগ পেল ভারত। উল্লেখ্য, বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও তরজার সৃষ্টি হয়েছিল। এই আটজনকে ছাড়াতে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ বাড়ায় কংগ্রেসও।
এই ঘটনায় অনেকেরই কুলভূষণ যাদবের কথা মনে পড়ে গিয়েছে। অনেকটা এভাবেই গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন ভারতীয় নৌবাহিনীর এই প্রাক্তন আধিকারিক। তার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতর দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় সরকার। আদালত ফাঁসির সাজা খারিজ করে জানায় কুলভূষণকে নিজের বক্তব্য রাখার সুযোগ দিতে হবে। পাকিস্তানের আদালতে সেই মামলা এখনও চলছে। তবে কাতারের ঘটনায় স্থানীয় আদালতই ফাঁসির সাজার খারিজের আবেদন শুনতে রাজি হল।
আরও পড়ুন: