নয়াদিল্লি, 12 জানুয়ারি: পাকিস্তানের হাইকমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন এক মহিলা (woman alleges molestation by Pakistan embassy) ৷ তাঁর দাবি, ঘটনাটি বছরখানেক আগেকার ৷ সেই সময় তিনি ভিসার জন্য নয়াদিল্লির পাকিস্তান হাইকমিশনে যান ৷ তখনই ওই ঘটনা ঘটে ৷ জানা গিয়েছে, ওই মহিলা পেশায় অধ্যাপক ৷ তাঁর অভিযোগ, ভিসা দেওয়ার পরিবর্তে তাঁর কাছ থেকে শারীরিক চাহিদা মেটানোর দাবি করা করা হয়েছিল (sexual favours for visa) ৷
ঠিক কী ঘটেছিল: জানা গিয়েছে যে ওই মহিলা প্রথমে 2021 সালের মার্চ মাসে এবং তারপরে আবার 2022 সালের জুনে পাকিস্তানের দূতাবাসে গিয়েছিলেন । তাঁর কাছে ভিসা চাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয় ৷ তিনি জানান যে তাঁকে লাহোরে যেতে হবে ৷ সেখানকার বিভিন্ন স্মারকের ছবি তুলবেন আর সেগুলি নিয়ে লিখবেন ৷ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার আমন্ত্রণও রয়েছে তার কাছে ৷
মহিলা দাবি করেছেন, দূতাবাসের আধিকারিকরা তাঁকে বলেছিলেন যে তাঁর ভিসা দেওয়া যাবে না ৷ কারণ, পাকিস্তান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে । তিনি যখন দূতাবাস থেকে বের হচ্ছিলেন, তখন অন্য একজন আধিকারিক এসে তাঁকে অস্বস্তিকর প্রশ্ন করতে শুরু করেন । ইন্ডিয়া টুডে-কে ওই মহিলা জানিয়েছেন, সেই আধিকারিক তাঁর হাত ধরেন ৷
মহিলা বলেছেন, "তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কেন আমি বিয়ে করিনি ? আমি বিয়ে ছাড়া কীভাবে বাঁচব ? আমি আমার যৌন ইচ্ছার জন্য কী করব ?” তিনি দাবি করেছেন যে দূতাবাসের ওই আধিকারিক যখন তাঁকে ব্যক্তিগত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে চলেছেন, তিনি তখন প্রসঙ্গ পরিবর্তন করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলেন । কিন্তু কোনও লাভ হয়নি ৷
জয়শঙ্করের কাছে অভিযোগ: এবার তিনি বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের (EAM S Jaishankar) কাছে অভিযোগ করেছেন ৷ এই নিয়ে পদক্ষেপ করার বিষয়ে আরজি জানিয়েছেন ৷ কিন্তু এতদিন পর কেন তিনি এই নিয়ে সরব হলেন ? উঠছে এই প্রশ্নও ৷ মহিলার দাবি, তিনি পাকিস্তানের ভিসা সংক্রান্ত একটি পোর্টালে অভিযোগ করেন ৷ এই নিয়ে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোকেও চিঠি দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি । তাই শেষ পর্যন্ত তিনি জয়শঙ্করের দ্বারস্থ হয়েছেন ৷
বিদেশমন্ত্রীর কাছে তাঁর অভিযোগে মহিলা পাকিস্তান হাইকমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশটও দিয়েছেন । তিনি আরও অভিযোগ করেন যে তাঁকে অর্থের বিনিময়ে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে লিখতে বলা হয়েছিল, যা তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ।