জামশেদপুর : টাটানগর রেলওয়ে স্টেশনে 18615 হাওড়া-হাতিয়া এক্সপ্রেসে ট্রেনের একটি বগি থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল (Professor Died in Howrah Hatia Express) ৷ খবর পেয়ে টাটানগর রেলওয়ে স্টেশনের আরপিএফ জওয়ানরা মৃতদেহটি সনাক্ত করে ৷ যাঁর দেহ মিলেছে তাঁর নাম অমিতাভ দত্ত ৷ তিনি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা । তিনি রাঁচির আরকে মিশন কলেজের অধ্যাপক ৷ আরপিএফ জানিয়েছে, এই মৃত্যুটি সন্দেহজনক ৷ পুরো বিষয়টির তদন্ত শুরু হয়েছে ।
হাওড়া-হাতিয়া এক্সপ্রেসে দায়িত্বপ্রাপ্ত টিটিই ওই যাত্রীকে অজ্ঞান অবস্থায় কোচ নম্বর M-2-এর 17 নম্বর বার্থে দেখেন ৷ এরপরই তিনি টাটানগর আরপিএফকে জানান । ট্রেনটি টাটানগর রেলওয়ে স্টেশনের 3 নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছয় । এরপরে আরপিএফ কর্মীরা এবং চিকিৎসকরা কোচে পৌঁছে ওই যাত্রীকে পরীক্ষা করেন ৷ ততক্ষণে তিনি মারা গিয়েছেন এবং তাঁর মুখ থেকে ফেনা বের হচ্ছিল।
আরও পড়ুন : আড়াই বছরের প্রেম পায়নি পূর্ণতা, সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী তৃতীয় বর্ষের ছাত্র
টাটানগর আরপিএফ ইন্সপেক্টর যদু সাওয়াল জানান, অমিতাভ দত্ত দক্ষিণ 24 পরগনার সোনারপুর থানার নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা । হাওড়ায় ট্রেনে করে রাঁচি যাচ্ছিলেন ৷ তিনি রাঁচির একটি কলেজের প্রফেসর ছিলেন । খবর পেয়ে রেল হাসপাতালের চিকিৎসকরাও সেখানে পৌঁছন । চিকিৎসকরা ওই যাত্রীকে মৃত বলে জানান । ঘটনাটি তাঁর পরিবারকে জানানোর পাশাপাশি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছ । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।