হায়দরাবাদ, 4 জুন : তরুণী চিকিৎসকের মৃত্য়ুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুললেন মৃতার স্বামী ৷ ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালে ৷
ভাবনা (31) এবং তাঁর স্বামী কল্য়াণ দু’জনেই পেশায় চিকিৎসক ৷ তাঁদের বাড়ি হায়দরাবাদের কোমপাল্লি এলাকায় ৷ আগে বেগামপেটের একটি হাসপাতালে রেডিয়োলজিস্ট হিসাবে কাজ করতেন ভাবনা ৷ কিন্তু বিয়ের পর প্র্য়াকটিস বন্ধ করে দেন তিনি ৷ গত 22 এপ্রিল তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে পজিটিভ ৷ 6 মে পর্যন্ত বেগামপেটেরই একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি ৷
এরপর করোনা সেরে গেলেও অন্য়ান্য় সমস্য়া শুরু হয় ভাবনার ৷ তাঁর একমো সহায়তার প্রয়োজন ছিল ৷ তাই তাঁকে জুবিলি হিলসের অন্য একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ টানা 26 দিন সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন ভাবনা ৷ পরিবারের দাবি, একমো মেশিন ঠিক মতো ব্য়বহার না করায় গত বুধবার ভাবনার রক্তক্ষরণ শুরু হয় ৷ অক্সিজেন লেভেলও পাল্লা দিয়ে কমতে থাকে ৷ এরপর বৃহস্পতিবার ভোরে মৃত্য়ু হয় ওই তরুণীর ৷
আরও পড়ুন : কোরোনা চিকিৎসায় 23 লাখের বিল ধরাল হায়দরাবাদের হাসপাতাল !
ভাবনার স্বামী জানিয়েছেন, তাঁর চিকিৎসার জন্য এখনও পর্যন্ত 52 লাখ টাকা খরচ করেছেন তাঁরা ৷ হয়তো আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ভাবনা সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে যেতেন ৷ কিন্তু স্রেফ হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীদের গাফিলতির জন্য তাঁকে প্রাণ খোয়াতে হল ৷ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷