নয়াদিল্লি, 20 এপ্রিল : দেশে ফের একবার লাগামছাড়া করোনা ৷ আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ৷ দৈনিক সংক্রমণ আড়াই লাখের উপর দিয়ে যাচ্ছে ৷ কোথাও চলছে নাইট কার্ফু, কোথাও লকডাউন ৷ ফের একবার এক বছর আগের আতঙ্ক ঘুরে ফিরে আসতে শুরু করেছে পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে ৷ রাজধানীসহ বিভিন্ন শহর ছেড়ে ফের একবার ঘরমুখী শ্রমিকরা ৷ এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসবাণী ৷
পরিযায়ী শ্রমিকদের ভয় না পাওয়ার জন্য অনুরোধ করলেন নরেন্দ্র মোদি ৷ বললেন, শ্রমিকরা যে রাজ্যে আছেন, সেখানেই ভ্যাকসিন মিলবে ৷ তারপর তাঁরা সেই রাজ্যেই আবার কাজ করবেন ৷ সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকেও পরামর্শ দিলেন যাতে শ্রমিকরা যেখানে আছেন, সেখানেই থাকতে অনুরোধ করা হয় ৷
গতবছর পরিযায়ী শ্রমিকদের যে করুণ দৃশ্য প্রকাশ্যে এসেছিল সেই ছবিটা যেন আজ আরও একবার ভেসে উঠল প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে ভাষণের সময় ৷ প্রধানমন্ত্রী সেইদিনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, "আগেরবার যে পরিস্থিতি ছিল, তা ছিল অন্যরকম ৷" পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে কেউ শহর না ছাড়েন, সেই অনুরোধও করেন তিনি ৷ কেন্দ্র ও রাজ্যের উদ্যোগে শ্রমিকরাও ভ্যাকসিন পাবেন বলে আশ্বস্ত করলেন নরেন্দ্র মোদি ৷
সোমবার দিল্লিতে লকডাউন ঘোষণার সময় অরবিন্দ কেজরিওয়াল পরিযায়ী শ্রমিকদের আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, "আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, সরকার আপনাদের সম্পূর্ণ যত্ন নেবে ৷ আমি তো আছি, আমার উপর ভরসা রাখুন ৷" তিনি আরও বলেছিলেন, "পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করছি, এটা কম সময়ের মাত্র 6 দিনের লকডাউন ৷ দয়া করে দিল্লি ছেড়ে যাবেন না ৷ তাতে আপনাদের প্রচুর টাকা, এনার্জি নষ্ট হবে ৷ দিল্লিতেই থাকুন ৷"
আরও পড়ুন : দেশকে লকডাউন থেকে বাঁচাতে হবে : মোদি
তবে সোমবার রাত 10টা থেকে ঘোষণার পরপরই দিল্লি ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ৷ তাঁদের কিছুদিনের জন্য অন্য জায়গায় রাখার ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ ৷ তবে কোভিড পরিস্থিতি খারাপ হলে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে এই আশঙ্কা করছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা ৷ আজ প্রধানমন্ত্রীর এই অনুরোধে কি আশ্বস্ত হলেন ঘরমুখী পরিযায়ী শ্রমিকরা ?