নয়াদিল্লি, 18 জুলাই: 24 জুলাই শেষ হচ্ছে দেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের মেয়াদ ৷ আজ তাঁর উত্তরসূরি বেছে নেবেন 4809 জন সাংসদ-বিধায়ক ৷ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ঘোষণা করে চমক দিয়েছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট । দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হয়েছেন ৷ শুধু পদপ্রার্থীই নন, 'বিরোধী' যশবন্ত সিনহার তুলনায় কয়েক যোজন এগিয়েও রয়েছেন তিনি । বড় অঘটন না ঘটলে তাঁর রাইসিনা হিলে যাওয়া একপ্রকার নিশ্চিত (India to vote for its 15th President today) ।
অন্যদিকে পূর্ণ শক্তি নিয়েই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিরোধী পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র পেশ করেছেন তৃণমূলের যশবন্ত সিনহা । মনোনয়ন পেশের সময় তাঁর পাশে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার ও কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধি ৷ মনোনয়ন পেশের পর থেকেই একাধিকবার প্রকাশ্যে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন এই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিবৃতি জারি করে কড়া আক্রমণ করেছেন এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে ৷ যদিও তাতেও তাঁর জয়ের সম্ভাবনা কার্যত নেই বলে ধরে নিয়েছে বিরোধীরাও ।
মনোনয়ন পেশের সময় প্রবীণ নেতার পাশে দেখা যায়নি অন্যতম প্রধান দুই বিরোধী দল আম আদমি পার্টি ও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাকে ৷ অবিজেপি দল বিএসপি, বিজেডি, ওয়াইএসআর কংগ্রেস, তেলুগু দেশম, অকালি দল, জেডিএস, শিবসেনা ইতিমধ্যেই দ্রৌপদী মুর্মুকে তাদের সমর্থন দিয়েছে ৷ বিজেপির হিসেব বলছে, দ্রৌপদী মোট ভোটের অন্তত 62 শতাংশ ভোট পেয়ে জিততে চলেছেন। তবে দিন দুয়েক আগে আপ জানিয়েছে তারা বিরোধী প্রার্থীকেই ভোট দেবে ৷
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছিল এটা মমতার জন্য এক প্রকার ধর্ম সংকট । কারণ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের জোটবদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান ভূমিকায় ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী । অপরদিকে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন ৷ জঙ্গলমহল ও উত্তরবঙ্গের আদিবাসী ভোটের কথা ভেবে তৃণমূল সুপ্রিমো যশবন্ত সিনহার পাশ থেকে সরে যাবেন কি না, সেই প্রশ্নও উঠছিল ৷ কিন্তু এই সমস্ত জল্পনা নিজেই খারিজ করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷
1997 সালে রাইরঙ্গপুর পৌরসভার কাউন্সিলর হিসেবে তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন দ্রৌপদী মুর্মু ৷ পরে ঝাড়খণ্ডের অষ্টম রাজ্যপাল হিসেবে 2015 সালের মে মাস থেকে 2021 সালের জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব সামলেছেন ৷ ওড়িশায় যখন বিজেপি ও বিজু জনতা দলের জোট সরকার ছিল তখন তিনি সেখানকার মন্ত্রীও ছিলেন ৷ 2000 সাল থেকে 2004 সাল পর্যন্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি ৷
আরও পড়ুন : শেষবেলায় প্রতিদ্বন্দ্বীকে তীব্র আক্রমণ, বিবৃতি পেশ করে ভোট চাইলেন যশবন্ত
অন্যদিকে, প্রাক্তন আইএএস অফিসার যশবন্ত সিনহা অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন । গত বছর তৃণমূলে যোগ দেন তিনি । বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের জাতীয় সহ-সভাপতি নিযুক্ত হন তিনি।