মহোবা(উত্তরপ্রদেশ), 17 অগস্ট: উত্তরপ্রদেশে তন্ত্রমন্ত্রের জেরে মৃত্যু হল 20 বছরের এক গর্ভবতীর । অসুস্থ হলে চিকিৎসকের পরিবর্তে তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যায় তাঁর বাড়ির লোকজন । এরপরই তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয় । পরে অচেতন অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন । পুলিশ খবর পেয়ে এসে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে । ঘটনা উত্তরপ্রদেশের মহোবায় ৷
জানা গিয়েছে, মহল্লা শেখু নগরের বাসিন্দা জিতেন্দ্র তাঁর স্ত্রী পূজাকে নিয়ে মুম্বইতে শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন । অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর পূজার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে জিতেন্দ্র তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে চলে আসেন । পূজার বাড়ির ও গ্রামের লোকজন মনে করে তাঁকে 'ভূতে ধরেছে' ৷ তাই একজন তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে । ঝাড়ফুকের জেরে ওই তরুণীর অবস্থার আরও খারাপ হতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত তাঁর মৃত্যু হয় ৷
পূজার শাশুড়ি ক্রান্তি বলেন, "পুত্রবধূ অন্তঃসত্ত্বা ছিল । দিন দিন তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে । ভূত ধরেছিল তাঁকে ৷ যার কারণে সে যেমন চিৎকার-চেঁচামেচি ও বিভিন্ন শব্দও করত । এ কারণে শ্রীনগর কোতোয়ালি এলাকার সেলপুরওয়া গ্রামে তান্ত্রিকের কাছে ভূত তাড়াতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে । কিন্তু এরপর বৌমার অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায় ।" শাশুড়ির অভিযোগ, তান্ত্রিক তাঁর পুত্রবধূর পেটে চাপ দেয় ৷ যার জেরে তাঁর পেট ব্যথা হয় এবং তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায় । অবস্থার অবনতি হলে পুত্রবধূকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন ।
আরও পড়ুন: রানিগঞ্জে 8 বছরের শিশুকন্যাকে শারীরিক নির্যাতন, গ্রেফতার তান্ত্রিক
অন্যদিকে, জেলা হাসপাতালের জরুরি ওয়ার্ডে কর্মরত চিকিৎসক পঙ্কজ জানান, পূজাকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল । দেহ মর্গে রেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে ।