বাদাউন, 1 ডিসেম্বর: ইঁদুর খুনের অভিযোগে সম্প্রতি এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় (Rat Murder Case) ! যদিও মৃত ইঁদুরের দেহের ময়নাতদন্তের পর সামনে আসে অন্য তথ্য (Postmortem Report) ৷ জানা যায়, ওই ইঁদুরটি অন্য কারণে মারা গিয়েছিল ৷ তাকে কেউ খুন করেনি ৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বাদাউনে (Badaun) ৷
এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে অভিযোগ করা হয়েছিল, স্থানীয় এক ব্যক্তি জীবন্ত ইঁদুরের লেজে ইট বা পাথর বেঁধে সেটিকে নর্দমার জলে ফেলে দেন ৷ আর তার ফলেই নাকি মর্মান্তিকভাবে প্রাণ যায় একটি ইঁদুরের ৷ মৃত ইঁদুরটির দেহ পরে নর্দমা থেকে উদ্ধার করা হয় এবং সেটির ময়নাতদন্ত করা হয় ৷ সেই দায়িত্বে ছিল বরেলিতে অবস্থিত 'ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইনস্টিটিউট' (Indian Veterinary Research Institute) ৷ তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, নর্দমার জলে ডুবে এই ইঁদুরটি মারা যায়নি ৷ তবে, সেটির ফুসফুস এবং যকৃত একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল ৷ খুব সম্ভবত, দেহের প্রধান অঙ্গগুলি বিকল হয়ে যাওয়াতেই প্রাণীটির প্রাণ যায় ৷ সংস্থার যুগ্ম অধিকর্তা ড. কেপি সিং সংবাদমাধ্যমকে জানান, গত 25 নভেম্বর ওই ইঁদুরের দেহটি আইভিআরআইতে নিয়ে আসা হয় ৷ ড. অশোক কুমার এবং ড. পবন কুমার নামে দুই বিজ্ঞানী ইঁদুরটির ময়নাতদন্ত করেন ৷
আরও পড়ুন: মদ্যপান করে আগে মরার বাজি ! প্রাণ গেল একজনের, অন্যজন হাজতে
এদিকে, যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইঁদুর খুনের অভিযোগ ওঠে, তাঁর নাম মনোজ কুমার ৷ গত 24 নভেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিকেন্দ্র শর্মা নামে এক পশুপ্রেমী ৷ বাদাউনের কোতওয়ালি থানায় মনোজের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয় ৷ পশুদের উপর নৃশংসতা প্রতিরোধী আইনের আওতায় মনোজকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয় ৷
পুলিশের কাছে বিকেন্দ্র দাবি করেছেন, "আমি মনোজকে ওই ইঁদুরটিকে নর্দমায় ফেলতে দেখেছিলাম ৷ সঙ্গে সঙ্গে নর্দমায় ঝাঁপিয়ে পড়ি ৷ কিন্তু, প্রাণীটিকে বাঁচাতে পারিনি ৷ নর্দমা থেকে তোলার আগেই ইঁদুরটির মৃত্যু হয় ৷ আমি জানি, ইঁদুর মারতে কারও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই ৷ কিন্তু, যেভাবে মনোজ ওই ইঁদুরটিকে খুন করেছিলেন, তা দেখে আমি স্তম্ভিত হয়ে যাই ৷ আমি ওঁকে বলেছিলাম, ভবিষ্যতে তিনি যেন আর এমন কাজ না করেন ৷ কিন্তু, মনোজ আমাকে জানান, তিনি ভবিষ্যতেও এভাবেই ইঁদুর মারবেন ৷" এরপরই তিনি মনোজের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন বলে দাবি করেছেন বিকেন্দ্র ৷