নয়াদিল্লি, 5 ফেব্রুয়ারি : আপাত শান্তিপূর্ণ ভাবেই শেষ হল কৃষক সংগঠনগুলির ডাকা চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি৷ শনিবার বেলা 12 টা থেকে দুপুর 3 টে পর্যন্ত তিন ঘণ্টার এই কর্মসূচি পালন করা হয়৷ গত প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন দিল্লিতে কৃষক বিক্ষোভ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল৷ ফলে এদিনের কর্মসূচি ঘিরে ঠিক কী হয়, তার দিকে কার্যত গোটা দেশ তাকিয়েছিল৷ দেশের বিভিন্ন অংশ, বিশেষ করে দিল্লিতে এই কর্মসূচির জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷
কেন্দ্রের মোদি সরকারের আনা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে 41টি কৃষক সংগঠন৷ দিল্লির সীমানার বাইরেই তারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে৷ ফলে দেশের অন্য অংশের তুলনায় কৃষকদের চাক্কা জ্যাম কর্মসূচির মাত্রা অনেক বেশি ছিল৷ দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় কুন্ডলি থেকে পালওয়াল, পাঠানকোট-জম্মু সড়কেও এই কর্মসূচি পালন করা হয়৷ এছাড়া পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায় একাধিক রাস্তা কৃষকদের আন্দোলনে স্তব্ধ হয়ে যায়৷ তবে অ্যাম্বুল্যান্স ও জরুরি পরিষেবায় ব্যবহৃত গাড়ি চলাচলে কোনও সমস্যা হয়নি বলে খবর পাওয়া গিয়েছে৷
ভারতী কিষান ইউনিয়ন (একতা উগ্রাহান)-এর সাধারণ সম্পাদক সুখদেব সিং কোক্রিকালান জানিয়েছেন যে তাঁরা পঞ্জাবের সানগ্রুর, বারনালা, ভাতিন্ডা-সহ 15 টি জেলায় 33টি জায়গায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে৷ কৃষকদের এই কর্মসূচিকে সমর্থন করেছে কংগ্রেস৷ এই নিয়ে টুইটও করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি৷
আরও পড়ুন : মোতায়েন 50 হাজার পুলিশ কর্মী, মোড়ে মোড়ে জল কামান, 'চাক্কা জ্যাম'-এর দিন দিল্লি যেন দুর্গ
এদিকে এদিন দিল্লি ও এনসিআর (ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওন) -এ 50 হাজার পুলিশ, আধা সামরিক, রিজার্ভ ফোর্সের আধিকারিক মোতায়েন করা হয়েছিল৷ সকাল থেকেই দিল্লির আটটি মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে রাখা হয়েছিল৷