পুণে, 20 জানুয়ারি: বংশের আর্থিক উন্নতি এবং উত্তরাধিকার চাই ৷ এই কামনায় 28 বছরের এক তরুণীকে পোড়া মানবদেহের ছাই খেতে বাধ্য করলেন তাঁরই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা (Forcing A Woman to Consume Human Ashes) ! এই ঘটনার পর পুলিশের কাছে স্বামী-সহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তরুণী ৷ এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রের সিংহগড় থানা এলাকায় (Sinhagad Police Station) ৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে তন্ত্রসাধনার (Witchcraft Ritual) নামে অত্যাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে ৷ তদন্ত শুরু করেছেন সিংহগড় থানার আধিকারিকরা ৷
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারিণীর বাড়ি পুণের ধায়রি এলাকায় ৷ শ্বশুরবাড়িও ওই এলাকাতেই ৷ অভিযোগ, গত তিনবছর ধরে ওই বধূর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাচ্ছেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা ৷ এমনকী, পণের দাবিতেও তাঁকে লাগাতার নিগ্রহ করা হয় বলে পুলিশকে জানিয়েছেন অভিযোগকারিণী ৷ তাঁর বক্তব্য, বিয়ের পর কয়েক বছর কেটে গিয়েছে ৷ তবুও তাঁদের কোনও সন্তান হয়নি ৷ আর সেই কারণেই ইদানীং ওই মহিলার উপর অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়েছে ৷
আরও পড়ুন: একাধিক বিয়ে ও নিকাহালালা কি সাংবিধানিক ? 5 বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন
এই অবস্থায় তরুণীর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা ঠিক করেন, বংশের উত্তরাধিকারীকে জন্ম দিতে এবং পরিবারের আর্থিক হাল ফেরাতে তন্ত্রসাধনার আশ্রয় নেবেন তাঁরা ! এর জন্য বাড়িতেই অঘোরি পুজোর আয়োজন করা হয় ৷ এই ধরনের পুজোয় প্রাণীবলির বিধান রয়েছে ! সেই বিধান মেনে পরিবারের সদস্যরা পুজো চলাকালীন ছাগল ও মুরগি বলি দেন ৷ এবং পুজোর একেবারে শেষ পর্যায়ে তরুণীকে মানবদেহের ছাই খেতে বাধ্য করা হয় ! পুলিশের কাছে নিজের অভিযোগপত্রে গোটা ঘটনা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্য়া করেছেন ওই তরুণী ৷
এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 498 (এ), 323, 504, 506/2 ধারায়, মহারাষ্ট্র নরবলি এবং অমানবিক অঘোরি চর্চা এবং তন্ত্রসাধনা (প্রতিরোধী) আইনের 3 নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ অভিযুক্তদের মধ্যে অভিযোগকারিণীর স্বামী জয়েশ পোকলে, দেওর শ্রেয়স পোকলে, দেওরের স্ত্রী ইশা পোকলে, শ্বশুর কৃষ্ণ পোকলে এবং শাশুড়ি প্রভাবতী পোকলের নাম রয়েছে ৷ অভিযুক্ত আটজনই পুণের বাসিন্দা ৷