কনৌজ(উত্তরপ্রদেশ), 16 ডিসেম্বর: সাড়ে পাঁচ বছর আগে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় 11 বছরের মেয়েকে ধর্ষণ ৷ বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের কনৌজ পকসো আদালত বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করে দু'বার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল ৷ সঙ্গে 1 লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাকে ।
ঘটনাটি 2018 সালের 20 এপ্রিলের । রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে পৌঁছে নিজের 11 বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে বাবা । ঘটনার পর নিজেকে বাঁচাতে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেছিল ওই ব্যক্তি । পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে । পুলিশ নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করলে সত্যটি বেরিয়ে আসে । জবানবন্দিতে নাবালিকা তার বাবার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনে । সে জানায়, কাকা নয়, তার বাবাই তাকে ধর্ষণ করেছে । এমনকী তার কাকার নাম পুলিশের কাছে বলার জন্য সেই তাকে চাপ দিয়েছিল । এর আগেও তার বাবা তাকে মাঠের মধ্যে ধর্ষণ করে বলে বালিকা জানায় ।
পকসো আদালতের বিশেষ বিচারক অলকা যাদব এই মামলার শুনানি করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, "এই অপরাধ পিতা ও কন্যার মধ্যে পবিত্র সম্পর্ককে কলঙ্কিত করে, যা সমাজের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক । নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করা পুরো সমাজের কাছে লজ্জার ব্যাপার । এই কারণে অভিযুক্তের দু'বার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং 50-50 হাজার টাকা জরিমানাও করা হল । আসামি জরিমানা না দিলে আরও 2 বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাকে ।" বিশেষ বিচারক কনৌজ ডিএম শুভ্রান্ত শুক্লাকে নিষ্পাপ মেয়েটির উন্নত ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ নিয়ম অনুসারে তার লালন-পালন, শিক্ষা, রক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপদ ভবিষ্যত এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে বলে তিনি জানান ।
সরকারি আইনজীবী নবীন দুবে বলেন, "আদালত ধর্ষণের দায়ে দোষী বাবাকে দুটি ভিন্ন ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন । 12 বছরের কম বয়সি মেয়েকে ধর্ষণের জন্য 376/2/এফ ধারার প্রথম শাস্তি হল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং 50 হাজার টাকা জরিমানা । একইভাবে সুরক্ষায় রাখা সত্ত্বেও ধর্ষণে সশ্রম কারাদণ্ড ও 50 হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ।"
আরও পড়ুন: