বেঙ্গালুরু (কর্ণাটক), 9 মে: আগামিকাল কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন ৷ তার একদিন আগে মঙ্গলবার দক্ষিণ ভারতের ওই রাজ্যে ভোট প্রচারের অভিজ্ঞতা সকলকে শোনালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তাঁর কথায়, গত কয়েকদিন ধরে কর্ণাটকে তিনি যে ভালোবাসা পেয়েছেন, তা থেকে ওই রাজ্যকে শীর্ষস্থানে নিয়ে যাওয়ার সংকল্প আরও দৃঢ় হয়েছে ৷
নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি অনুযায়ী সোমবার বিকেল 5টাতেই শেষ হয়ে গিয়েছে কর্ণাটক বিধানসভা ভোটের প্রচার ৷ তাই কর্ণাটকে বিজেপির হয়ে আর কোনও কিছু বলার সুযোগ নেই নরেন্দ্র মোদির কাছে ৷ সেই সব কিছু বললেই লঙ্ঘন হবে নির্বাচনী বিধির ৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই কৌশলে নির্বাচনী প্রচারের সময়ের অভিজ্ঞতা সকলকে শুনিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ৷
এ দিন টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ সঙ্গে একটি ছবিতে নিজের বার্তা তুলে ধরেছেন ৷ প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘কর্ণাটকের প্রতিটি নাগরিকের স্বপ্ন আমার স্বপ্ন । আপনাদের সংকল্প, আমার সংকল্প । আমরা যখন একত্র হই এবং আমাদের মনকে একটি লক্ষ্যে স্থির করি, তখন বিশ্বের কোনও শক্তি আমাদের থামাতে পারবে না ৷’’
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি ৷ 2018 সালে একক বৃহত্তম দল হওয়ার পরও ক্ষমতায় আসতে পারেনি তারা ৷ কংগ্রেস ও জেডিএস জোট সরকার তৈরি করে ৷ মুখ্যমন্ত্রী হন জেডিএসের কুমারস্বামী ৷ পরে অবশ্য পরিস্থিতি বদল হয় ৷ জোট সরকারের বহু বিধায়ক বিদ্রোহ করেন ৷ পরে তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেন ৷ 2019 সালে ক্ষমতায় আসে বিজেপি ৷ এবার তারা ভোটে জিতেই ক্ষমতায় আসতে চায় ৷
তাই প্রচারে সবরকম চেষ্টা চালিয়েছে গেরুয়া শিবির ৷ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী 19টি জনসভা করেছেন ৷ ছ’টি রোড শো-তেও অংশগ্রহণ করেছেন ৷ সেই প্রচার পর্ব শেষ হয়ে যাওয়ার পর মঙ্গলবার কর্ণাটকবাসীর উদ্দেশ্যে টুইটারে মোদি বলেছেন, ‘‘কর্ণাটককে দেশের এক নম্বর রাজ্যে পরিণত করার লক্ষ্যে আমি আপনারদের আশীর্বাদ চাই ৷’’ কর্ণাটকের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে তাঁর আবেদন, ‘‘আমার আবেদন কর্ণাটকের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য । এটি আপনার পরিবারের, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজন ৷’’
আরও পড়ুন: সাপকে আঘাত করলে ছোবল মারবেই, বজরং দলের পাশে দাঁড়িয়ে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর