ETV Bharat / bharat

Atiq Ahmed Murder Case: আতিক এবং আশরাফ খুনে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের আবেদন সুপ্রিম কোর্টে

নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন এক আইনিজীবী ৷ গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরাফকে পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন অবস্থায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় ৷ সেই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের আবেদন করা হয়েছে ৷

Atiq Ahmed Murder Case ETV BHARAT
Atiq Ahmed Murder Case
author img

By

Published : Apr 17, 2023, 11:27 AM IST

নয়াদিল্লি, 17 এপ্রিল: আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরাফের খুনের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট মামলা দায়ের হল ৷ শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে যাতে নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করা হয় সেই আবেদন করা হয়েছে ৷ বিশাল তিওয়ারি নামে এক আইনজীবী এই মামলা দায়ের করেছেন ৷ পাশাপাশি, আবেদনে এও বলা হয়েছে, 2017 সালের পর থেকে উত্তরপ্রদেশে মোট 183টি এনকাউন্টার হয়েছে ৷ সেই সব ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিক সর্বোচ্চ আদালত ৷

শনিবার রাতে প্রয়াগরাজে গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরাফকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ ৷ হাতকড়া পরানো অবস্থায় বিশাল পুলিশি নিরাপত্তার মাঝে ওই দুই কুখ্যাত আসামীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ৷ সেই সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে আতিক এবং আশরাফ এগিয়ে আসেন ৷ ঠিক তখনই তিন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তাদের উপর হামলা চালায় ৷ তাদের লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা ৷ ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দুই গ্যাংস্টার ৷

মামলাকারী আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে 2017 সালে যোগী আদিত্যনাথের সরকারের আমলে এখনও পর্যন্ত 183 জন কুখ্যাত অপরাধীকে এনকাউন্টারে খতম করা হয়েছে ৷ যা একটি গণতান্ত্রিক দেশের আইনি ব্যবস্থার বিরুদ্ধাচরণ ৷ গণতন্ত্রের শাসনে কখনই পুলিশ প্রশাসন চূড়ান্ত শাস্তি দিতে পারে না ৷ আর এটা হলে, তা আইন ব্যবস্থা তথা বিচার ব্যবস্থার উপর মানুষের আস্থা হারাবে ৷ অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া অধিকার কেবলমাত্র বিচার ব্যবস্থার আছে ৷

ওই আবেদনে 183টি এনকাউন্টারের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সমালোচনায় বলা হয়েছে, "বিচার ব্যবস্থার উর্ধ্বে উঠে হত্যা বা ভুয়ো পুলিশি এনকাউন্টারের আইনে কোনও জায়গা নেই ৷ পুলিশ যদি এখন ডেয়ার ডেভিল হয়ে ওঠে, তাহলে তো পুরো আইন ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে ৷ সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশ সম্পর্কে ভয় তৈরি হবে ৷ শুধুমাত্র ভয় পেয়ে তাঁরা পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন না ৷ আর এতে ভবিষ্যতে আরও অপরাধ বাড়বে ৷ যা গণতন্ত্রের জন্য খুবই বিপজ্জনক ৷" 183টি এনকাউন্টারের পাশাপাশি, শনিবার রাতে পুলিশ হেফাজতে আতিক এবং আশরাফের খুনের ঘটনারও নিরপেক্ষ তদন্তের আবেদন করা হয়েছে ৷ মূলত, সেখানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারী আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি

আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে জারি 144 ধারা, প্রয়াগরাজে বন্ধ ইন্টারনেট; আতিক হত্যার সব আপডেট একনজরে

উল্লেখ্য, শনিবারের ঘটনায় এক সাংবাদিক এবং এক পুলিশ কর্মীও আহত হয়েছেন ৷ প্রয়াগরাজে 144 ধারা জারি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার ৷ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও ৷ বিশাল পুলিশবাহিনী সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনওরকম অশান্তি বা উত্তেজনা না ছড়িয়ে পড়ে ৷ এমনকি ঘটনার সময় দায়িত্বে থাকা 17 জন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার ৷

নয়াদিল্লি, 17 এপ্রিল: আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরাফের খুনের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট মামলা দায়ের হল ৷ শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে যাতে নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করা হয় সেই আবেদন করা হয়েছে ৷ বিশাল তিওয়ারি নামে এক আইনজীবী এই মামলা দায়ের করেছেন ৷ পাশাপাশি, আবেদনে এও বলা হয়েছে, 2017 সালের পর থেকে উত্তরপ্রদেশে মোট 183টি এনকাউন্টার হয়েছে ৷ সেই সব ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিক সর্বোচ্চ আদালত ৷

শনিবার রাতে প্রয়াগরাজে গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরাফকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ ৷ হাতকড়া পরানো অবস্থায় বিশাল পুলিশি নিরাপত্তার মাঝে ওই দুই কুখ্যাত আসামীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ৷ সেই সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে আতিক এবং আশরাফ এগিয়ে আসেন ৷ ঠিক তখনই তিন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তাদের উপর হামলা চালায় ৷ তাদের লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা ৷ ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দুই গ্যাংস্টার ৷

মামলাকারী আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে 2017 সালে যোগী আদিত্যনাথের সরকারের আমলে এখনও পর্যন্ত 183 জন কুখ্যাত অপরাধীকে এনকাউন্টারে খতম করা হয়েছে ৷ যা একটি গণতান্ত্রিক দেশের আইনি ব্যবস্থার বিরুদ্ধাচরণ ৷ গণতন্ত্রের শাসনে কখনই পুলিশ প্রশাসন চূড়ান্ত শাস্তি দিতে পারে না ৷ আর এটা হলে, তা আইন ব্যবস্থা তথা বিচার ব্যবস্থার উপর মানুষের আস্থা হারাবে ৷ অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া অধিকার কেবলমাত্র বিচার ব্যবস্থার আছে ৷

ওই আবেদনে 183টি এনকাউন্টারের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সমালোচনায় বলা হয়েছে, "বিচার ব্যবস্থার উর্ধ্বে উঠে হত্যা বা ভুয়ো পুলিশি এনকাউন্টারের আইনে কোনও জায়গা নেই ৷ পুলিশ যদি এখন ডেয়ার ডেভিল হয়ে ওঠে, তাহলে তো পুরো আইন ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে ৷ সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশ সম্পর্কে ভয় তৈরি হবে ৷ শুধুমাত্র ভয় পেয়ে তাঁরা পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন না ৷ আর এতে ভবিষ্যতে আরও অপরাধ বাড়বে ৷ যা গণতন্ত্রের জন্য খুবই বিপজ্জনক ৷" 183টি এনকাউন্টারের পাশাপাশি, শনিবার রাতে পুলিশ হেফাজতে আতিক এবং আশরাফের খুনের ঘটনারও নিরপেক্ষ তদন্তের আবেদন করা হয়েছে ৷ মূলত, সেখানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারী আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি

আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে জারি 144 ধারা, প্রয়াগরাজে বন্ধ ইন্টারনেট; আতিক হত্যার সব আপডেট একনজরে

উল্লেখ্য, শনিবারের ঘটনায় এক সাংবাদিক এবং এক পুলিশ কর্মীও আহত হয়েছেন ৷ প্রয়াগরাজে 144 ধারা জারি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার ৷ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও ৷ বিশাল পুলিশবাহিনী সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনওরকম অশান্তি বা উত্তেজনা না ছড়িয়ে পড়ে ৷ এমনকি ঘটনার সময় দায়িত্বে থাকা 17 জন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.