নয়াদিল্লি, 28 সেপ্টেম্বর: ভারতে নিষিদ্ধ হল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া ৷ মঙ্গলবার একটি সরকারি নোটিফিকেশনে একথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৷ এই নোটিশে জানানো হয়, পিএফআই এবং এর সহযোগী অথবা পোষিত অথবা ফ্রন্টগুলি প্রকাশ্যে সামাজিক-অর্থনৈতিক, শিক্ষা এবং রাজনৈতিক সংগঠন চালাচ্ছে ৷ তবে এর পিছনে সমাজের একটি নির্দিষ্ট শ্রেণিকে মৌলবাদী করার (radicalize a particular section) উদ্দেশ্যে রয়েছে ৷ এটি গণতন্ত্রের ধারণাকে সংকুচিত করছে ৷ সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ এবং দেশের সাংবিধানিক পরিকাঠামোর (disrespect towards the constitutional authority and constitutional set up) প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন এর লক্ষ্য ৷ এই সংগঠনের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপে অর্থসাহায্য করার অভিযোগও উঠেছে (Popular Front of India (PFI) along with others were conspiring and raising funds from within India and abroad) ৷
-
Ministry of Home Affairs declares Popular Front of India (PFI) and its affiliates as ‘Unlawful Association’. (1/2)@HMOIndia @MIB_India @PIB_India @PBNS_India @DDNewslive @airnewsalerts pic.twitter.com/80wtO23oYL
— Spokesperson, Ministry of Home Affairs (@PIBHomeAffairs) September 28, 2022 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">Ministry of Home Affairs declares Popular Front of India (PFI) and its affiliates as ‘Unlawful Association’. (1/2)@HMOIndia @MIB_India @PIB_India @PBNS_India @DDNewslive @airnewsalerts pic.twitter.com/80wtO23oYL
— Spokesperson, Ministry of Home Affairs (@PIBHomeAffairs) September 28, 2022Ministry of Home Affairs declares Popular Front of India (PFI) and its affiliates as ‘Unlawful Association’. (1/2)@HMOIndia @MIB_India @PIB_India @PBNS_India @DDNewslive @airnewsalerts pic.twitter.com/80wtO23oYL
— Spokesperson, Ministry of Home Affairs (@PIBHomeAffairs) September 28, 2022
দেশের তদন্তকারী সংস্থাগুলি তদন্তে খুঁজে পেয়েছে, পিএফআই (Popular Front of India, PFI) অফিসের কর্মচারী এবং ক্যাডাররা ষড়যন্ত্র করছে ৷ তারা ব্যাংকিং, হাওয়ালা, অনুদান- এরকম নানা উপায়ে দেশের মধ্যে এবং বাইরে থেকে অর্থ সংগ্রহ করছে ৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মতে, সুপরিকল্পিত অপরাধমূলক চক্রান্তের জন্য টাকা জোগাড় করে পিএফআই ৷ দেশে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, বেআইনি, অপরাধজনক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে পিএফআই একাধিক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকার লেনদেন করে ৷ যাতে এই লেনদেন নিয়ে কোনও ভাবে অবৈধ প্রমাণিত না হয় ৷
আরও পড়ুন: পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে 'বেআইনি সংগঠনে'র তকমা মোদি সরকারের
পিএফআই-এর সঙ্গে সঙ্গে তার সহযোগী রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন (Rehab India Foundation, RIF), ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (Campus Front of India, CFI), অল ইন্ডিয়া ইমামস কাউন্সিল (All India Imams Council, AIIC), ন্যাশনাল কনফেডারেশন অফ হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন (National Confederation of Human Rights Organisation, NCHRO), ন্যাশনাল উইমেন'স ফ্রন্ট, জুনিয়র ফ্রন্ট, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং কেরলের রিহ্যাব ফাউন্ডেশনকে নিষিদ্ধ করেছে মোদি সরকার ৷ তাদের বিরুদ্ধে 'বেআইনি সংগঠনে'র (Unlawful Association) অভিযোগ এনেছে শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৷
তদন্তে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে ৷ পিএফআই-এর পক্ষে বহু লোক একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিচ্ছেন ৷ তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আর্থিক পরিস্থিতির সামঞ্জস্য নেই ৷ পিএফআই তাদের কাজকর্ম নিয়ে যে ঘোষণা করেছে, সেই উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে না ৷
নোটিফিকেশনে জানানো হয়েছে, আয়কর দফতর পিএফআই-এর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে ৷ তারা ইনকম ট্যাক্স অ্য়াক্ট, 1961-র (43 of 1961) 12A অথবা 12AA ধারায় নথিভুক্তিকরণ করেছিল ৷ রিহ্যাব ইন্ডিয়ার রেজিস্ট্রেশনও খারিজ করেছে আয়কর দফতর ৷
তদন্তকারী সংস্থাগুলি জানাচ্ছে, পিএফআই-এর সহযোগী অথবা পোষিত সংস্থাগুলির সঙ্গে পিএফআই-এর 'হাব অ্যান্ড স্পোক' (Hub and Spoke) সম্পর্ক রয়েছে ৷ পিএফআই একটা কেন্দ্র (PFI acting as the Hub) এবং তারা বহু মানুষের কাছে পৌঁছতে পারছে ৷ এতে টাকা জোগাড়েরও সুবিধে হচ্ছে ৷ বেআইনি কাজকর্ম (unlawful association) করার শক্তি বাড়ছে ৷ সহযোগী অথবা পোষিত সংস্থাগুলি এর শিকড় ৷ এদের মাধ্যমেই পিএফআই টাকা পায় ৷
আরও পড়ুন: আজ দ্বিতীয়বার দেশজুড়ে অভিযান, পিএফআই সদস্য সন্দেহে অসমে আটক 4