মুম্বই,4 জুলাই: লড়াইটা যেন অনেকটাই মস্তিষ্ক বনাম মনের। মহারাষ্ট্র-রাজনীতির মহানাটকের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আপাতত তিন জন- অজিত পাওয়ার, শরদ পাওয়ার এবং একনাথ শিন্ডে। তিন জন নিজেদের মতো করে লড়ছেন। আর তার জেরেই রাজনৈতিক মহলের একাংশের অনুমান, অজিত পাওয়ার ক্রমশ শিন্ডের ভবিষ্য়ৎ সংকটে ফেলছেন। এনসিপি শক্তি ধরে রাখতে খোদ শরদ পাওয়ারও আসরে নেমেছেন। এনসিপি সূত্রের খবর, অজিত পাওয়ারের সঙ্গে শিন্ডের ক্যাবিনেটে যোগ দেওয়া দুই বিধায়ক ফের পাওয়ারকে সমর্থন করছেন। দুই বিধায়ক মাকারন্দ ও বালাসাহেব পাতিল টিম শরদ পাওয়ারে থাকতেই ইচ্ছুক।
শরদ পাওয়ারের সমর্থনে তাঁদের ট্যুইট, 'যেখানে যুদ্ধ মস্তিষ্ক বনাম মনের, সেখানে আমরা মনের ডাকেই সাড়া দেব। আমাদের মন শরদ পাওয়ারের দিকেই'। রবিবার মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে যখন অজিত পাওয়ার শপথ নিলেন তখন তাঁর সঙ্গে এনসিপি থেকে আসা আটজন মন্ত্রী পদে শপথ নেন। এনসিপির একাংশের দাবি সত্য হলে সেই আট জনের দুই জন শরদ পাওয়ারের কাছে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তাহলে 'পাওয়ার গেমে' অজিত বনাম শরদে কে এগিয়ে কে পিছিয়ে? বিষয়টি ক্রমশ জটিল অঙ্কে পরিণত হয়েছে।
মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভার উপর 'অজিত প্রভাব' গত রবিবার থেকেই। আর বাইশ সালের বর্ষায় উদ্ধবের মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে শিন্ডের বিক্ষুব্ধ হওয়া অসম বন্যার গুরুত্বকেও হার মানিয়েছিল। রাজনৈতিক মহলের মতে, অজিত- আগ্রাসনে সেই শিন্ডেই আপাতত বিপাকে। উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে ঢুকে দেবেন্দ্র ফডনবীশের সঙ্গেই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অজিত। সূত্রের খবর, অজিত এবার আরও বড় মন্ত্রীত্ব পেতে পারেন। শিন্ডের মন্ত্রিসভায় অর্থদফতরের দায়িত্বও পেতে পারেন অজিত পাওয়ার।
আরও পড়ুন:কার হাতে এনসিপি? কাকা-ভাইপো সংঘাতের আবহে বুধবার 2 মেগা বৈঠক মুম্বইয়ে
শিন্ডে কতটা বিজেপির আর কতটা শিবসেনার সেই প্রশ্ন আপাতত ব্রাত্য। কারণ, মিশন পদ্মের লক্ষ্যকে সফল করেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন শিন্ডে । সেই সময় দাঁড়িয়ে ট্যুইট করেছিলেন, ' ক্ষমতার জন্য শিবসেনার ভাবাদর্শ থেকে কোনও দিন সরে যাব না'। সেই শিন্ডে অজিতের 'পাওয়ারে' কাছে কতটা পর্যদুস্ত হয় সেটাই মহারাষ্ট্রের পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্ম দেবে। কারণ, এনসিপি থেকে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভা, অজিত ও শরদ পাওয়ারের শক্তির লড়াই ফের বড়সড় বদল ঘটাবে কি না সেই নিয়েও সংশয় থেকে যাচ্ছে।