নয়াদিল্লি, 16 ডিসেম্বর: নয়াদিল্লি, 16 ডিসেম্বর: 13 ডিসেম্বর সংসদে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনায় নয়া তথ্য এল দিল্লি পুলিশের হাতে ৷ ধৃত 5 অভিযুক্তকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁদের 'আত্মদহনে'র পরিকল্পনা ছিল ৷ অর্থাৎ, সংসদ ভবনের ভিজিটরস গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দেওয়ার আগে নিজেদের অগ্নিসংযোগ করার কথা ভেবেছিলেন ৷ এমনকি তার আগে সরকারের বিরুদ্ধে প্যামফেলট বিতরণ করার কথাও ছিল অভিযুক্তদের ৷ এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশের তদন্তকারী স্পেশাল সেল ৷
সংসদে হামলার এই ঘটনার তদন্ত সম্পর্কে অবগত এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার আগে (লোকসভা কক্ষে ঝাঁপ দেওয়া), অভিযুক্তরা বেশ কিছু পরিকল্পনা করেছিল ৷ যাতে সরকারের কাছে তাঁদের বার্তা আরও জোরালভাবে পৌঁছে দেওয়া যায় ৷ ওদের পরিকল্পনা ছিল, অগ্নি প্রতিরোধ জেল শরীরে মেখে, নিজেদের অগ্নিসংযোগ করার ৷ কিন্তু, শেষ মুহূর্তে সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসে সংসদের ভিতরে প্রবেশ করা দুই অভিযুক্ত ৷’’
ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, এমনকি সংসদকক্ষে নিজেদের দাবি এবং সরকারের বিরুদ্ধে প্যামফেলট বিতরণ করার পরিকল্পনা ছিল ৷ কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সংসদকক্ষে ঝাঁপ দেওয়ার পরিকল্পনাকেই কার্যকর করে ধৃতরা ৷ উল্লেখ্য, সংসদের কক্ষে ভিজিটরস বা পাবলিক গ্যালারিতে প্রবেশের জন্য সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জনকে পাস প্রদান করেছিলেন মাইসরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমা ৷ তাঁকে এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ভাবছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল ৷ ওই বিভাগের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স দল বিজেপি সাংসদের বয়ান রেকর্ড করার পরিকল্পনাও করছে বলে জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের ওই আধিকারিক ৷
স্পেশাল সেলের তদন্তকারী দল 5 অভিযুক্তকে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল ৷ সংসদে হামলার আগে রাজধানীর যেখানে তারা দেখা করেছিল এবং নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার পরিকল্পনা তৈরি করেছিল, সেই জায়গাগুলিতে তদন্তের জন্য যায় পুলিশ ৷ তদন্তকারীরা এই ঘটনার পুনর্নিমাণ করার কথা ভাবছে ৷ সেই কারণে সংসদের সচিবালয়ের অনুমতি চেয়ে আবেদন করতে পারে দিল্লি পুলিশ ৷ এই ঘটনায় পরবর্তী সময়ে গ্রেফতার হওয়া ললিত ঝাকে পালাতে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে মহেশ কুমাওয়াত এবং কৈলাস নামে দুই যুবকের বিরুদ্ধে ৷ তাঁদের তদন্তকারীরা এখনও সন্দেহের তালিকায় রেখেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর ৷
উল্লেখ্য, ঘটনার দিন সাগর শর্মা এববং মনোরঞ্জন সংসদ কক্ষের ভিতরে গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দেয় এবং হলুদ ধোঁয়ার ক্যানিস্টার খুলে দেয় ৷ সেই একই সময়ে সংসদের বাইরে অমল শিন্ডে এবং নীলাম দেবী রঙিণ ধোঁয়ার ক্যানিস্টার খুলে দেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগানবাজি শুরু করে বলে অভিযোগ ৷ আর সেই সব ঘটনার ভিডিয়ো করছিলেন পঞ্চম অভিযুক্ত ললিত ঝা এবং পরবর্তী সময়ে সেগুলি সোশাল মি়ডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ৷
আরও পড়ুন: