নয়াদিল্লি, 21 ডিসেম্বর: লোকসভায় বৃহস্পতিবার প্রকাশনা শিল্পকে নিয়ন্ত্রণকারী ব্রিটিশ যুগের আইন বদল এবং ম্যাগাজিন বা সাময়িক পত্র রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়াকে সহজ করার জন্য বিল পাশ হয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, 'প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অফ পিরিওডিকালস বিল 2023' যা লোকসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ হয়েছে ৷ সাময়িকীর রেজিস্ট্রেশনকে পুরনো আইনের আট পদক্ষেপের প্রক্রিয়াকে বদল করে আরও সহজ করে এক ধাপ প্রক্রিয়ায় পরিণত করাই লক্ষ্য।
বিলটি 'প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অফ বুকস (পিআরবি) আইন, 1867'-এর প্রতিস্থাপন করেছে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, "এই বিলটি সহজ, স্মার্ট এবং সংবাদপত্র ও সাময়িকী নিবন্ধনের জন্য একই সঙ্গে প্রক্রিয়া রয়েছে। আগে সংবাদপত্র বা ম্যাগাজিনগুলিকে আট ধাপের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হত। এটি এখন একটি বোতামে ক্লিক করার মাধ্যমে আরও সহজে করা যেতে পারে ৷" গত 3 অগস্ট রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হয়েছে।
অন্যদিকে, এদিন সংসদ আরও একটি বিলের অনুমোদন দিয়েছে যা কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল প্রস্তাব করেন ৷ দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের জন্য একটি পৃথক ব্যবস্থা তৈরি করতে চায় কেন্দ্র ৷ যা অবশ্যই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে বলেও জানায় কেন্দ্র। লোকসভায় এদিন আলোচনার পর ধ্বনি ভোটে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (নিযুক্তি, পরিষেবার শর্তাবলী এবং অফিসের মেয়াদ) বিল, 2023 পাশ হয়। গত 12 ডিসেম্বর রাজ্যসভায় এটি পাশ হয়েছিল ৷
বিতর্কের জবাবে এদিন আইনমন্ত্রী মেঘওয়াল জানান, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের চাকরির শর্তাবলীর উপর 1991 সালের আইন বাতিল করার পক্ষেই সওয়াল করে কেন্দ্র ৷ এর আগে প্রস্তাবিত আইনটি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী বলে পরামর্শও খারিজ করেছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী ৷ কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, শীর্ষ আদালত এই বছরের মার্চ মাসে জানায়, আইন কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এবং লোকসভার বিরোধী দলের নেতা ও ভারতের প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে তিন সদস্যের প্যানেল, সিইসি ও ইসি নির্বাচন করবে। মেঘওয়াল জানান, নতুন বিলটি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং এর বিরুদ্ধে নয়।
(পিটিআই)
আরও পড়ুন