জম্মু, 18 অগস্ট: নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গিয়ে মৃত্যু হল পাকিস্তানি বন্দির ৷ পাশাপাশি আহত হয়েছেন এক পুলিশকর্মীও ৷ বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে জম্মুতে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, " ঘটনায় পাকিস্তানি জঙ্গি তথা এলইটি কম্যান্ডর মহম্মদ আলি হুসেন ওরফে কোয়াসিম জাহাঙ্গিরের মৃত্যু হয়েছে । অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধারের সময় জখম হন এক পুলিশ কনস্টেবলও ৷ আরনিয়া সেক্টরের তোপ গ্রামে (Toph village) অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছিল ৷ দু'জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ পরে জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, 2022-এর 24 ফেব্রুয়ারি আরনিয়া থানায় অস্ত্র এবং গোলাগুলি উদ্ধার হওয়া নিয়ে একটি মামলা দায়ের হয় ৷ এই ঘটনায় অভিযুক্ত জম্মুর বাসিন্দা পুলিশকে জানায় একজন পাকিস্তানি বন্দি মহম্মদ আলি হুসেন ওরফে কোয়াসিম এর পিছনে রয়েছে ৷ পাকিস্তানের ড্রোন থেকেই তোপ গ্রামে অস্ত্র ফেলা হয়েছে ৷ সে লস্কর-ই-তইবা বা এলইটির সদস্য এবং আল বাদরের প্রধান পরিচালক ৷ হুসেনকে জেল থেকে আদালতে এনে পুলিশ নিজের হেফাজতে নেয় ৷
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত স্বীকার করেছে যে সে আরনিয়ায় ড্রোন থেকে অস্ত্র ফেলায় জড়িত ছিল ৷ কোন দু'টি জায়গায় অস্ত্রশস্ত্র ফেলা হয়েছিল, তাও জানিয়েছিল সে ৷ অস্ত্রগুলি উদ্ধার করতে অকুস্থলে পৌঁছয় পুলিশের দল এবং সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট ৷
এডিজিপি মুকেশ সিং বলেন, "প্রথম জায়গাটি থেকে কিছু পাওয়া যায়নি ৷ তবে দ্বিতীয় জায়গা আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে তোপ গ্রামের ফালিয়ান মণ্ডল এলাকা থেকে একটি প্যাকেট ভর্তি অস্ত্র, গুলি এবং বিস্ফোরক পদার্থ উদ্ধার করা হয় ৷ প্যাকেটটি খুলতেই অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকদের আক্রমণ করে এবং তাঁর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেয় ৷ তারপর সে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং ঘটনাস্থল থেকে পালাবার চেষ্টা করে ৷" পুলিশের সঙ্গে গুলিযুদ্ধে সে জখম হয় ৷ তাকে জম্মুর সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ পরে সে মারা যায় (Pakistani prisoner lashkar e taiba militant die in weapon recovery operation in Toph village Jammu) ৷
বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের সাহায্যে প্যাকেটটি খোলা হয় ৷ তার মধ্যে একটি একে রাইফেল, ম্যাগাজিন, 40 একে রাউন্ড গুলি, একটি স্টার পিস্তল, পিস্তল রাউন্ডস এবং চিনা ছোট গ্রেনেড পাওয়া যায়৷ তদন্ত চলছে ৷