নয়াদিল্লি, 9 জুন: সংরক্ষণ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গকে বড়সড় প্রশ্নের মুখে ফেলল জাতীয় অনগ্রসর শ্রেণি কমিশন। বাংলাদেশ এবং মায়ানমার থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীরা ওবিসি সংরক্ষণের অপব্যবহার করছে বলে দাবি করেছেন কমিশনের চেয়ারম্যান হংসরাজ গঙ্গারাম আহির। মহারাষ্ট্র সদনে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে বৃহস্পতিবার পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের 179 ওবিসির মধ্যে 118 জনই মুসলমান সম্প্রদায়ের।" তাঁর মতে এই প্রবণতা আগামিদিনে চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে। পাশপাশি তিনি এটাও জানান, কমিশন মুসলমানদের সংরক্ষণের বিরোধী নয়।
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই সংরক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সংরক্ষণ যাঁদের প্রাপ্য তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে এমন দাবিও নতুন নয়। আবার সংরক্ষণ কাদের পাওয়া উচিত তা নিয়েও বিতর্ক চলে আসছে শেষ কয়েক দশক ধরে। তবে বাংলার ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু অন্যরকম। কয়েকটি সংগঠনের দাবি, বাংলাদেশ এবং মায়ানমার থেকে আসা অনবুপ্রবেশকারীদের ওবিসি সংরক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক শিবিরও এমন অভিযোগে সরব হয়ে থাকে।
এই ধরনের অভিযোগ পেয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে বঙ্গ সফরে যান কমিশনের সদস্যরা। নবান্নে গিয়ে 25 ফেব্রুয়ারি মুখ্যসচিবের সঙ্গেও দেখা করেন তাঁরা। চেয়ারম্যানের দাবি, এই বৈঠক মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষদের ওবিসি সংরক্ষণ দেওয়া নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। তবে রাজ্য প্রশাসন এই ব্যাপারে বিস্তারিত কোনও তথ্য দিতে চায়নি বলে কমিশনের দাবি।
আরও পড়ুন: 8 জুলাই এক দফাতেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, মনোনয়ন পেশ শুক্রবার থেকেই
এই প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা মুসলমানদের সংরক্ষণ দেওয়ার বিরোধিতা করছি না। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে ওবিসি'র মধ্যে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া আগামিদিনে চিন্তার বিষয় হয়ে উঠতে পারে। সংবিধান আমাদের শেখায় সংরক্ষণ ধর্মের ভিত্তিতে হওয়া উচিত নয় । সেটা আমাদের মনে রাখা উচিত।" এদিকে রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইট বলছে, বাংলায় স্বীকৃত ওবিসির সংখ্যা 180। তার মধ্যে দুটি বিভাগ আছে। প্রথম গ্রুপে আছে 81 জন। তার মধ্যে 73 জন মুসলমান সম্প্রদায়ের। আর পরের গ্রুপের 99 জনের মধ্যে 46 জন মুসলমান।