তিরুবনন্তপুরম, 19 ফেব্রুয়ারি: আপনি যদি সরকারি চাকুরে হন, তাহলে কোনও ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন না (Government Employees can not have YouTube Channels) ৷ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই নির্দেশ কার্যকর করেছে কেরালা সরকার (Kerala Government Order) ৷ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এই নির্দেশিকা জারি করেছেন ৷ তাতে বলা হয়েছে, যেসমস্ত সরকারি কর্মচারী নিজেদের ইউটিউব চ্যানেল খুলছেন, তাঁরা আসলে বেআইনি কাজ করছেন ! কারণ, সেক্ষেত্রে তাঁরা সকলেই 1960 সালের কেরালা সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি (Kerala Government Employees Conduct Rules, 1960) লঙ্ঘন করছেন ৷
এই প্রেক্ষাপটে সরকারের তরফ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, রাজ্য়ের কোনও সরকারি কর্মীই নিজের ইউটিউব চ্য়ানেল খুলতে পারবেন না ৷ সরকারের তরফ থেকে তাঁদের এই বিষয়ে কোনও অনুমতিও দেওয়া হবে না ৷ কিন্তু, তারপরও কোনও সরকারি কর্মচারী যদি নিজের ইউটিউব চ্য়ানেল খোলেন, তাহলে তা বেআইনি বলে বিবেচিত হবে এবং দোষী প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপও করা হবে ৷
আরও পড়ুন: ভাবমূর্তি ফেরাতে মরিয়া আদানি গোষ্ঠী, ঋণ পরিশোধের উদ্যোগ
তথ্য বলছে, চলতি মাসের 3 তারিখ (3 ফেব্রুয়ারি, 2023) রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এই নির্দেশিকা জারি করেছেন ৷ স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ অনেকেই রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে অভিযোগ করছেন ৷ যদিও সরকার পক্ষ এমন অভিযোগ মানতে নারাজ ৷ তাদের যুক্তি অন্য ৷ তারা বলছে, সরকারি কর্মীদের নির্দিষ্ট পরিমাণ বেতন এবং অন্য়ান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় ৷ তবে, সেখানে কিছু শর্ত রয়েছে ৷ যেমন, কোনও সরকারি কর্মীই অতিরিক্ত রোজগারের জন্য অন্য কোনও চাকরি করতে পারেন না ৷ কিন্তু, ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ইদানীং অনেকেই অতিরিক্ত টাকা রোজগার করছেন ৷ এই বেআইনি আয় বন্ধ করতেই সরকারকে পদক্ষেপ করতে হয়েছে ৷
তবে, এই নির্দেশিকার জেরে কোনও সরকারি কর্মী যাতে সোশাল মিডিয়ায় কোনও ধরনের শৈল্পিক কাজ করা থেকে বঞ্চিত না হন, সেটিও বিবেচনা করা হচ্ছে ৷ এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছ থেকে অনুমতি চাওয়া হয়েছে ৷ এখন দেখার, সরকারি কর্মীরা এই নির্দেশিকা সম্পর্কে আগামী দিনে কী অবস্থান নেন ৷ তাঁরা বিষয়টিকে মেনে নেন, নাকি প্রতিবাদ করেন ৷ আপাতত সেদিকেই নজর রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলের ৷