নয়াদিল্লি, 2 অগস্ট: মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে আরও একটি চিতার মৃত্যু হল ৷ এই নিয়ে গত মার্চ মাস থেকে কুনোয় ষষ্ঠ প্রাপ্তবয়স্ক চিতার মৃত্যু হল ৷ বুধবার মধ্যপ্রদেশ বন বিভাগের তরফে বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে ৷
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "আজ সকালে একটি মহিলা চিতা - ধাত্রি - কে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে । মৃত্যুর কারণ নির্ধারণের জন্য ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে ৷"
কুনোয় পর্যবেক্ষণে চিতারা: কুনোতে বোমাস এনক্লোজারে সাতটি পুরুষ, ছয়টি মহিলা ও একটি মহিলা শাবক মিলিয়ে মোট 14টি চিতা রাখা হয়েছে ৷ একটি মহিলা চিতা খোলা অবস্থায় রয়েছে ৷ তাকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বন বিভাগের একটি দল । বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই চিতাকে এনক্লোজারে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে ।
নামিবিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসে চিতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতে বিলুপ্ত চিতাদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে গত বছরের 17 সেপ্টেম্বর তাঁর জন্মদিনে নামিবিয়া থেকে আনা আটটি চিতা (5টি মহিলা এবং 3টি পুরুষ) ছেড়ে দিয়েছিলেন কুনো জাতীয় উদ্যানে । চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও 12টি চিতা আনা হয় ।
আরও পড়ুন: কুনো ন্যাশনাল পার্ক থেকে নিখোঁজ স্ত্রী চিতা, মিলছে না রেডিয়ো কলারের সিগন্যাল
চিতার মৃত্যু নিয়ে উদ্বিগ্ব সুপ্রিম কোর্ট: এর আগে, 1 আগস্ট ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি (এনটিসিএ) সুপ্রিম কোর্টকে বলেছিল যে, তারা চিতার জন্য উপযুক্ত স্থান হিসেবে মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানকে চিহ্নিত করেছে । এনটিসিএ শীর্ষ আদালতকে আরও বলে যে, চিতার মৃত্যুর ঘটনাগুলির কারণ প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে প্রাকৃতিক ৷ তাদের মধ্যে কেউই অস্বাভাবিক কারণে, যেমন শিকার, ফাঁদ, বিষপ্রয়োগ, রাস্তার আঘাত, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ইত্যাদির কারণে মারা যায়নি । এর আগে, সুপ্রিম কোর্ট চিতার মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল । কুনোতে চিতাদের মৃত্যু রুখতে কেন্দ্রকে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ করতে বলেছিল আদালত ।
মোট মৃত 9 চিতা: মধ্যপ্রদেশ বন বিভাগ এ বিষয়ে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে এবং গত কয়েক মাসে কয়েকটি চিতার মৃত্যুর পরে চিতাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছে। আজকের মৃত্যু বাদ দিলে, এই বছরের মার্চ থেকে শেওপুর জেলার কুনো জাতীয় উদ্যানে পাঁচটি প্রাপ্তবয়স্ক চিতা এবং তিনটি শাবকের মৃত্যু হয়েছে ৷