কোপ্পাল (কর্ণাটক), 3 অক্টোবর: বাবাকে ঋণের দায় থেকে মুক্ত করতে হলে কিশোর ছেলেকে বিবস্ত্র হয়ে পুজো করতে হবে ! এমনটাই বোঝানো হয়েছিল এক কিশোরকে ৷ পরিস্থিতির চাপে ওই নাবালক সেটা করতেই বাধ্য হয় ৷ কর্ণাটকের (Karnataka) কোপ্পালের (Koppal) ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে ৷ সোশ্য়াল মিডিয়ায় সেই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই আসরে নেমেছে পুলিশ ৷ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতারও করেছে তারা ৷ সূত্রের দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্য়েই একজন সোশ্য়াল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়োটি পোস্ট করেন ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ৷ এঁরা হলেন শরণাপ্পা তলওয়ার, বীরপানাগোওদা এবং শরণাপ্পা ওজানাহাল্লি ৷ অভিযুক্তরা সকলেই কোপ্পালের বাসিন্দা ৷ এঁরা সকলেই ওই কিশোরের পূর্ব পরিচিত ৷ এঁদের মধ্যে প্রথমজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ বাকি দু'জনের খোঁজেও তল্লাশি চলছে ৷
আরও পড়ুন: আইসিইউ-র রোগীর মুখে চড়ছে পিঁপড়ে ! ঘটনায় সাসপেন্ড চার
যে ঘটনাকে ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়েছে, সেটি ঘটেছিল গত জুন মাসে ৷ কিন্তু অভিযোগ দায়ের হয় রবিবার (2 অক্টোবর, 2022) ৷ এই ঘটনার ভিডিয়ো যে সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, তা সদ্য জানতে পারেন নিগৃহীত কিশোরের বাবা-মা ৷ এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা ৷
পুলিশের কাছে কিশোরের বাবা-মা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি তাঁদের কাছে কাজের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন ৷ তাঁরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ওই কিশোরকে হুব্বাল্লিতে একটি কাজ পাইয়ে দেবেন ৷ সেই প্রতিশ্রুতি পেয়েই ছেলেকে ওই তিনজনের সঙ্গে যেতে দিয়েছিলেন নাবালকের বাবা-মা ৷
কিশোরের বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁরা অত্যন্ত দরিদ্র ৷ তাঁদের অনেক দেনা রয়েছে ৷ ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর ছেলেকে ভুল বোঝানো হয়েছে ৷ অভিযুক্তরা কিশোরের পরিবারের আর্থিক অবস্থা জানতেন ৷ তাঁরা ওই কিশোরকে বোঝান, সে যদি বিবস্ত্র হয়ে পুজো করে, তাহলেই পরিবারের সব ঋণ শোধ হয়ে যাবে ! কিশোর সব কথা বিশ্বাস করে এবং অভিযুক্তদের কথামতোই কাজ করে ৷ তাকে বলা হয়, এই পুজো করলে পাওনাদাররা আর তার বাবাকে টাকা চেয়ে বিরক্ত করবেন না ! এমনকী, তার পরিবারর আর্থিক অবস্থাও শুধরে যাবে ৷